বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের ৪ আসনে মনোনয়ন পেতে তৎপর ইসলামী দলগুলো
ফয়সাল আমীন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হ্ওায়া বইছে সিলেটে। প্রার্থীতা নিশ্চিতে দৌঁড়ঝাপে ব্যস্ত মনোনয়ন প্রত্যাশিরা। প্রধান দু’টি রাজননৈতিক দলের মতোই ইসলামি দলগুলোও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। নির্বাচনের জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের শরিক ইসলামী দলগুলো মাঠে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। দলীয় ব্যানারে তাদের প্রার্থীরা জনসম্পৃক্ততার মধ্যে দিয়ে এখন আলোচনায়। সিলেটে ৬টি ছয়টির মধ্যে সিলেট-২, সিলেট-৩, সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনগুলোতে নিজেদের প্রার্থী ভাগ চায় ইসলামী দলগুলো। তিনটি আসনে খেলাফত মজলিস, একটি আসনে নিজ দলীয় প্রার্থী চায় ইসলামী ঐক্যজোট এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী।
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর) আসনে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলীর প্রার্থীতা দাবি খেলাফত মজলিসের। এ আসনের সাবেক সাংসদ বিএনপি নেতা নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর অবর্তমানে স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনাকে এ আসনে মনোনয়ন দিচ্ছে, এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে খেলাফত মজলিসের বক্তব্য, ইলিয়াস আলীর অবর্তমানে সিলেট-২ আসনে বিএনপি বিভক্ত। বিপরীতে খেলাফত মজলিস সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থানের পাশাপাশি তাদের প্রার্থীও হেভিওয়েট। নির্বাচনের টার্গেটে জনকল্যানমুখী কাজে সক্রিয় ভ‚মিকা রেখে আলোচনায় রয়েছেন তাদের প্রার্থী মুনতাসির আলী। পরিচ্ছন্ন ইমেজসহ ব্যক্তি গ্রহণযোগ্যতায় মুনতাসির আলী সাড়া ফেলেছেন এমনটিই মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তাই ঐক্যবদ্ধতার পরিচয় দিতে ২০ দলীয় জোট তার মনোনয়ন নিশ্চিত করাই সমুচীন হবে।
সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ) বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ শফি আহমদ চৌধুরী, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা কাইয়ুম চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আবদুস সালাম সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন। তবে এ আসনে ২০ দলীয় জোট থেকে প্রার্থীতার দাবি খেলাফত মজলিসের। জেলা খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সম্পাদক দিলওয়ার হোসাইনকে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায়। নির্ভরশীল ও জনকল্যানমুখী কর্মতৎপরতায় নিজস্ব একটি ইমেজও তৈরী করেছেন তিনি। দলের নির্দেশে তার কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো।
সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক এনামুল হাসান ছাবীরের প্রার্থীতা ঘোষণা দলটি। গত ১৬ আগস্ট জকিগঞ্জে এ প্রার্থীতা ঘোষণা করা হয়। এ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ, সাবেক সাংসদ আবুল কাহির চৌধুরী ও কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। এদিকে, এ আসনে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীও প্রার্থী দিতে চায়। দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজ আবদুর রহমান সিদ্দিকীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে প্রার্থী হিসেবে। ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে এ আসনটিতে খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা উবায়দুল হক উজিরপুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট থেকে লড়তে চান। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও অপর একটি দলের সভাপতি হিসেবে পদাধিকার বলেই এ আসনে নির্বাচন করতে চান তিনি। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন বিএনপি নেতা ্ও শিল্পপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরী জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাওলানা রশীদ আহমদ।
এ ব্যাপারে নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব বলেন, ২০০৬ সালে জোট আমাকে মনোনয়ন দিলেও আমি নির্বাচন করিনি। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক সহ জোটের স্বার্থে আমাকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস। জোটের শীর্ষ নেতারাও এ ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে, সেই বিবেচনায় আমি স্থানীয় ভাবে জন সম্পৃক্ততা বজায় রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। জেলা খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সম্পাদক দিলওয়ার হোসাইন বলেন, আমরা ২০ দলীয় জোটের শরিক দল হিসাবে দলের নির্দেশে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে কাজ করছি। আমাদের মাধ্যমে এলাকায় ২০ দলের আওয়াজ এখন সক্রিয়। জোটের নির্যাতিত নেতাকর্মী সহ সাধারন মানুষের সেবায় সাধ্যনুযায়ী তৎপর আমি ও আমার দল। জোটের স্বার্থে এ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসাবে যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করার মতো আমাদের সামর্থ আমাদের রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।