বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাভার থেকে নিয়ে এক পোশাক শ্রমিককে আশুলিয়ায় এটি পরিত্যাক্ত গোদাম ঘরে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়ায় গেছে। এঘটনায় জড়িত চার জনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে আশুলিয়ায় এলাকায় এঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর মেয়েটিকে ৫০০টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলে। তাই ভয়ে মেয়েটি কোন কথা বলতে সাহস পাইনি। অবশেষে শুক্রবার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে পুলিশ সাভার পৌর এলাকার বিনোদবাইদ মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা হচ্ছে- দোষাইদ এলাকার ই¯্রাফিল (২২) তার বন্ধু একই এলাকার শরিফুল ইসলাম (২৩), গোদাম ঘরের নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও পলাশ (৩৫)। তারা বর্তমানে পলঅতক রয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, তিন জনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। আর যে ছেলেটি তাকে নিয়ে গিয়েছিল সে ধর্ষনের সময় ছিল না। তিনি বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সাভার থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমজাদুল হক জানান, মেয়েটি বিকাল ৩টার দিকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে ঘটনাটি যেহেতু গণধর্ষন তাই পুলিশের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। ২০ বছল বয়সী ধর্ষিত পোশাক শ্রমিক জানান, তিনি পৌর এলাকার কর্নপাড়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। এর আগে দোসাইদ এলাকার একটি কারখানায় কাজ করার সুবাদে সহকর্মী দোসাইদ এলাকার ই¯্রাফিলের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রায়ই তাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাত হতো। শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বিয়ের কথা বলে ই¯্রাফিল দোষাইদ চারাবাগ এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত গোদাম ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ইস্্রাফিল তার বন্ধু শরিফুল ইসলামের কাছে রেখে তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে শরিফুল ও ওই গুদামের দুই গার্ড মিলে ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে ই¯্রাফিল আসলে চিৎকার চেচামেচি করলে লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে ও তাদের ধরে স্থানীয় মেম্বারকে খবর দেয়।
ধর্ষিত মেয়েটি জানায়, আমার বাবা-মা নেই। বোনের সংসারে থাকি। বোন জামাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। চেয়ারম্যান আমাকে ভয় দেখিয়ে বলে তুমার বোন জামাই বিএনপি করে মামলা করলে বিপদ হবে, ৫০০ টাকা দিলাম নিয়ে চুপচাপ বাসায় চলে যাও। এ ব্যাপারে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর বলেন, মেয়েটি পরিবারের সাথে কথা বলেছি, তারা মামলা করবে না, তাই ৫০০টাকা দিয়ে মেয়েটিকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।