Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাঠদান চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে

আশাশুনির উত্তর দাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

| প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে জি এম মুজিবুর রহমান : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ১২৮ নং উত্তর দাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যাক্ত ভবন ও গাছতলায় ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ছাদ থেকে খসে পড়া পলেস্তারারের আঘাতের আশংখা মাথায় নিয়ে ক্লাশে যেতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
১৯৮৯ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০০ সালে। ৪ কক্ষ বিশিষ্ট বিল্ডিংটির দরোজা-জানালা ভেঙে একাকার হয়ে গেছে। পিলার ও দেওয়ালের প্লাস্টার খসে খসে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। পিলার এতটাই জীর্ণশীর্ণ যে কখন বিল্ডিং এর ভার সইতে না পেরে ভেঙে পড়ে বলা মুশকিল। ছাদের পলেস্তারার বড় বড় অংশ মাঝে মধ্যে খসে পড়ছে। ফলে কখন সেটি মাথায় পড়ে জীবন প্রদীপ নীভে যায় সে শংকা বিরাজমান। ২০১২ সালে কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু পৃথক কোন ঘর না থাকায় স্কুল পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ টিন দিয়ে ছেয়ে ঘেরাবেড়া ব্যতীত একটি ঘর উঠিয়েছেন। যেখানে সকল ক্লাশ নেয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া ঝড়-বৃষ্টি ও রৌদ্র-গরমে সেখানে বসা যায় না। বর্ষা শুরু হলেই বই খাতা গুটিয়ে সকলে একত্রিত হয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিত্যাক্ত ভবনে এবং গাছ তলায় ক্লাশ চালিয়ে নিচ্ছেন। ৫ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত স্কুলটির পর্যাপ্ত টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় পরিবেশ আরো দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। একসাথে দু’কক্ষের টয়লেট থাকলেও ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য পৃথক টয়লেট না থাকায় বিপত্তিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয় ব্যবহারকারীদের। একটি টিউব ওয়েল থাকলেও সেটি আর্সেনিকযুক্ত। ফলে কঁচি শিশুরা জীবনের শুরুতে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে জীবননে হুমকীর মধ্যে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। ক্লাশ রুমের অভাব, কেবল অভাব নং বরং ক্লাশ রুম না থাকা, আসবাব পত্রের অভাব, টয়লেট ও সুপেয় পানির অভাবের মধ্যে জীবন বাজি রেখে স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসলেও দীর্ঘ ৬ বছরে স্কুল ভবন পুননির্মান কাজের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। বিষয়টি অনুভব করে অতি দ্রæত স্কুলটিতে নতুন ভবন নির্মানের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা নিরসনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ