রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লা উত্তর থেকে মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন মোল্লা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনের মতো কুমিল্লা -২ (হোমনা-তিতাস) আসনেও বইছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারনা শুরু করেছে সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। জাতীয় পর্টিও বসে নেই। এবার ঈদ ঘিরে রাজনীতিবিদদের ভোটের রাজনীতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দুর্গাপূজা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছেন বড় দু’দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জতীয় পার্টি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বছরখানেক সময় বাকি থাকলেও নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-২ আসনে নিজ নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন। ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকেই ঝুলিয়েঝেন ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার। আবার কেউ কেউ মসজিদ, মন্দিরে দান-খয়রাত ছাড়াও সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে দিয়েছেন। মোটকথা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। বাড়ছে মাঠ দখলের কৌশলও। হোমনা ও তিতাস উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসন। বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে ১৯৯১ সাল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার। ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মরহুম মুর্তুজা হোসেন মোল্লা এমপি নির্বাতি হওয়ার পর দীর্ঘ ৪৩ বছরেও বিজয়ের মুখ দেখেনি আওয়ামী লীগ। তবে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে বীনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন মহাজোট প্রার্থী মোঃ আমির হোসেন ভূইয়া (জাতীয় পার্টি)। আগামী নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে হলে এমপি আমির হোসেন আবারও মনোনয়ন চাইবেন। তিনিও লাঙ্গলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আগামী নির্বচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিবেন-এমন আভাস দলের কেন্দ্র থেকে পাওয়া গেছে। কেননা দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের বার বার বলে আসছেন আগামী নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ন। ফলে আওয়ামী লীগ সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবার কোমড় বেধে মাঠে নেমেছেন ৪৩ বছর ধরে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া আসনটি উদ্ধার করেতে। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে হাফ ডজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে মাঠে প্রচারনায় আছেন নবম জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ এবং বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা নিটল-নিলয় গ্রæপের ভাইস-চেয়ারম্যান, ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি সেলিমা আহম্মদ মেরি (সিআইপি)। আর বিএনপি’র একক প্রার্থী বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এমকে আনোয়ারের পদচারনা এলাকায় খুবই কম। তবে তিতাসে অনুষ্ঠিত গত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এমকে আনোয়ার ১০/১৫মিনিট উপস্থিত থেকে চলে যান। তবে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অনেকটা নীরব কৌশলী হয়ে মাঠ গোছানো শুরু করেছেন। এদিকে নবম জাতীয় নির্বাচনে অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ পরাজিত হওয়ার পর নেতাকর্মীদের সাথে তিনি দীর্ঘদিন নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। ফলে নেতাকর্মীরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দলে দেখা দেয় অভ্যন্তরীন কোন্দল, যা এখনো বিরাজমান । আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট শিল্পপতি সেলিমা আহমদ মেরি সিঅইপি মাঠে নামার পর আওয়ামী ঘরানার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আবারো নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আওয়ামী রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে নতুন মেরুকরণ। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সেলিমা আহমদ মেরির নেতৃত্বে আওয়ামী নেতাকর্মী সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন নির্বাচনী প্রচারনায় নেমেছেন। মেরির বার্তা নিয়ে সমর্থরা দিন-রাত গ্রাম থেকে গ্রামান্তর চষে বেড়াচ্ছেন, নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন এবং বিগত দিনের শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারে যুগান্তকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাফল্যের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন জনসম্মুখে। বিশেষ করে সেলিমা আহমদ মেরির প্রচারনা ও গনসংযোগে সর্বস্তরের ভোটারের মধ্যে অভূতপূর্ব সারা পড়েছে। এলাকার সর্বস্তরের নারীরা এগিয়ে এসেছেন তার ডাকে। সেলিমা আহমদ মেরি এখন বেশী বেশী সময় দিচ্ছেন এলাকায়। আওয়ামী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মনে করছেন, মেরিকে দিয়ে এই আসনটি উদ্ধার করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে এই আসন থেকে মেরিকে দলীয় মনোনয়ন দিতে র্তৃণমূল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে সেলিমা আহমদ মেরির মাধ্যমেই কুমিল্লা-২ আসনটি উদ্ধার করে আওয়ামী লীগের ঘরে তুলব ইনশাল্লাহ। এখানকার আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে এখন মেরিকে নিয়েই আলোচনার-পর্যলোচনার ঝড় বাইছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।