Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্কুল চলে জোয়ার-ভাটা দেখে

প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:২২ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

দশমিনা (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদ্য গঠিত চরবোরহান ইউনিয়নের চরশাহজালাল নামক চরে অবস্থিত দক্ষিন চরশাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে। ফলে নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারেছে না। চর এলাকায় সরকারি-বেসরকারি উদ্দ্যেগে বিদ্যালয় স্থাপন করা হলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপুস্থিতে শিক্ষার মান আশানুরূপ নয়। ফলে চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে যোগাযোগসহ সকল সমস্যার সমাধান করা একান্ত প্রয়োজন বলে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের দাবি।
জানা যায়, উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে সর্ব দক্ষিনে বিচ্ছিন্ন চরশাহজালাল নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় কোন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। চরের মধ্যে দিয়ে অসংখ্য খাল প্রবাহিত হওয়ায় ব্রিজ, কার্লভার্ট ও কোন রাস্তা নির্মান করা হয় নি। চরে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নৌকা, ডোঙ্গা ও সাঁতার কেটে চলা করাতে হয়। চরের একমাত্র স্কুলটি নদী তীরবর্তী হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নৌকা কিংবা সাঁতার কেটে স্কুলে আসতে হয়। শুস্ক মৌসুমে স্কুলে আসতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে খালে পানি থাকায় অধিকাংশ ছাত্র শিক্ষক স্কুলে আসতে পারে না। আবার অনেককে ঝুঁকি নিয়ে কোমর পরিমান ও তার অধিক পানির মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের জামা-কাপড় ও বইপত্র অনেক সময় ভিজে যায়। দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া থাকলে বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকে না বলেই চলে। অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেও সীমাহীন কষ্টের মধ্যে পাঠ দান দিতে হয় বলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রুহুল আমিন জানান। এদিকে বিদ্যালয়টি যোগাযোগ বিছিন্ন দূর্গম চরে অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারাও তদারকি করতে যায় না বলেও স্থানীয়রা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ