রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লার সর্বত্রই এখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ বইতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক সভা-সেমিনারে নেতাদের বক্তব্যই বলে দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন আসছে। বর্তমানে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি অনেকটা কৌশলী হয়ে নিরবে নির্বাচনী মাঠ গোছানো শুরু করেছে। বিএনপি নেতাদের মাঝে এখনো হামলা-মামলার আতঙ্ক কাজ করছে। তাই তারা আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে না নামলেও কোন আসনে কে প্রার্থী হবেন তা অনেকটা দলীয় হাইকমান্ড থেকে গ্রীণসিগন্যাল দেয়া রয়েছে বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগ প্রকাশ্যেই প্রচারণার ডামাঢোলে নেমেছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরা হচ্ছে জনসন্মুখে। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশিরাই বসে নেই।
কুমিল্লা-১ সংসদীয় আসনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামীলীগের অনেকে এখন থেকেই লবিং শুরু করেছেন। এ আসনে আওয়ামীলীগের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া ছাড়াও দাউদকান্দি ও মেঘনা আওয়ামীলীগের অন্তত চার নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশির খাতায় নাম উঠিয়েছেন। দাউদকান্দি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও মেঘনা উপজেলার আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১ সংসদীয় আসনে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টানা চারবারের নির্বাচিত এমপি ও মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়লাভ করেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া। ১৯৭৩ সালের পর এ আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেনি। ৩৪ বছর পর সুবিদ আলী ভূঁইয়া দাউদকান্দিতে আওয়ামীলীগের হারানো আসন পুনরুদ্ধার করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। গত ৯বছরে দাউদকান্দি ও মেঘনায় যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রæতির অনেকটাই বাস্তবায়ন করেছেন। তবে দাউদকান্দি ও মেঘনার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাউদকান্দি ও মেঘনা নিয়ে গঠিত আসনটি বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই হেভিওয়েটরাই এখানে প্রার্থী হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন। বর্তমান এমপি সুবিদ আলী ভূইয়া আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের টিকেট পাবেন বলে দলের নেতাকর্মীরা নিশ্চিত। তবে সাংগঠনিক সমন্বয়হীনতার কারণে দাউদকান্দি ও মেঘনায় এমপির সঙ্গে তৃণমুল নেতা-কর্মীদের দুরত্ব বেড়েছে। দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগে এমপি অনুসারি দুইজনই সাধারণ সম্পাদকের পদ ব্যবহার করছেন। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশির তালিকায় রয়েছেন দাউদকান্দি আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হাসান জামিল সাত্তার, মেঘনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. আবদুল মান্নান ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার বাদল রায়।
এদিকে মেঘনা উপজেলা বিএনপিতে দলীয় কোন্দল থাকলেও দাউদকান্দিতে দলটি গ্রæপিংমুক্ত। কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিকল্প নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়ায় আগামী নির্বাচনে তিনিই দলের মনোনয়ন পাবেন বলে দুই উপজেলার নেতাকর্মীরাই শতভাগ আশাবাদী। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবু জায়েদ আল মাহমুদ ওরফে মাখন সরকার, জাপা নেতা সুলতান আহমেদ জিসান, আবদুল কাদের জুয়েল আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে যাচ্ছেন। জাতীয়পার্টি যদি আগামীতে আওয়ামীলীগের জোটে না থাকে তাহলে পার্টির ওইসব নেতারা কুমিল্লা-১ আসনের জন্য পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছে মনোনয়ন চাইবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।