রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কৃষক হত্যাকান্ডের জের ধরে গতকাল রোববার প্রতিপক্ষের অর্ধশত বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়াগেছে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চরজাজিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর ও হত্যা মামলা দায়ের পর আসামী পক্ষের নারী-পুরুষ ও শিশুরা বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন বলে ওই গ্রামের শওকত গ্রুপের প্রধান শওকত মোল্লা অভিযোগ করেছেন।
স¤প্রতি ওই গ্রামের আধিপত্য নিয়ে শওকত মোল্লা ও কবির মোল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় কবিরের লোকজন শওকত মোল্লার সমর্থকদের ৫টি বাড়ি ভাঙচুর করে। এনিয়ে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে শওকত মোল্লার দায়ের করা মামলায় কবির গ্রæপের কৃষক জিহাদ মোল্লা (৪০) ও তার ভাই সুজন মোল্লা (২৪) আদালতে হাজিরা দেয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের দু’ ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই জিহাদের মৃত্যু হয়। মারাতœক আহত হন সুজন।
ঘটনার পরের দিন নিহত জিহাদের শশুর মোঃ মোরাদ মোল্লা (৬০) বাদি হয়ে ৪২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলা নং ২২।
শওকত গ্রুপের প্রধান শওকত মোল্লা জানান, জিহাদ মোল্লা হত্যাকান্ডের পর থেকে কবিরের সমর্থকরা তার সমর্থক আজিজুল মোল্লা, মহর মোল্লা, ছামাদ শিকদার, আশরাফ, রিপন মোল্লার বাড়িসহ প্রায় অর্ধশত বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারীরা বাড়ির আসবাবপত্র, গরু, ছাগল ও পাটসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও মামলা দায়েরের পর আসামী পক্ষের নারী-পুরুষ ও শিশুরা বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।