মটর সাইকেল: নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে (নতুন বাস্তবতায়)
মটরসাইকেল নিরাপদ, অধিক সুবিধাজনক, খরচ এবং সময় বাঁচায়। গণপরিবহনে একে অন্যের গা ঘেঁষে চলাচলে প্রতিদিন
মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন
স্বাধীনতা কী? কেন মানুষ স্বাধীনতা চায়? স্বাধীন হওয়া আসলেই কী সম্ভব? স্বাধীনতা ও মুক্তি, এ দু’য়ের মধ্যে পার্থক্য কী? এ রকম হাজারো প্রশ্নের জবাব মানুষ সচেতন বা অবচেতন মনে জানতে চায়। আবার এই স্বাধীনতার সাথে নিজস্বতা বা স্বকীয়তার মধ্যে যে সম্পর্ক ও গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে তাও গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ স্বাধীনতার জন্য। রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা কী ব্যক্তিগত স্বাধীনতার, না ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার উপর প্রভাব বিস্তার করে বা মুখ্য ভূমিকা পালন করে? আবার স্বাধীনতার সাথে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা কতটুকু তাও গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া স্বাধীনতা কোন চেতনার মধ্য দিয়ে লাভ করে এবং তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য কোন চেতনার প্রয়োজন আছে কিনা তাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ বিষয় গুলির বিস্তৃত ব্যাখ্যার জন্য যুগ যুগ সময়ের প্রয়োজন। নিদ্দিষ্ট পরিসরে কখনও প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়। কারণ প্রতিটি বিষয়ের গতিপ্রকৃতি সময়ের ও বাস্তবতার সাথে পরিবর্তনশীল। এরপরও স্বাধীনতা ও চেতনার মধ্যে কিছু মৌলিক ও সাধরণ মিল ও পার্থক্য আছে। চিন্তাশীলতার প্রভাবে মানব জাতি ক্রমেই উন্নতি লাভ করেছে, করছে এবং করবে। কারণ চিন্তা জাতীয় জীবনকে সংগঠিত ও বলিষ্ঠ করে। চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ সমাজতরুরও মূল স্বরূপ। যে সমাজে চিন্তাশীল ব্যক্তি যত অধিক, সে সমাজ ততধিক শ্রেষ্ঠ ও শক্তিসম্পন্ন। সমাজে চিন্তাশীল মহাত্মগণ জন্মগ্রহণ করে বলেই অধঃপতিত সমাজ উন্নত অথবা দুর্বল সমাজ প্রবল হতে পারে না। কিন্তু এই চিন্তাশীলতা অনুশীলন স্বাধীন পরিবেশেই সম্ভব এবং ব্যক্তি চিন্তাশীলতার উন্নতির মধ্যদিয়ে সামগ্রিকভাবে জনসমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। তাই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা প্রয়োজন সবার আগে। অন্যথায় পরাধীনতার করতলে নানা প্রভাব বিস্তার করে এবং দুঃচিন্তা বা কুচিন্তা বাসা বাঁধে মানুষের অন্তরে। ফলে অসংখ্য ক্লান্তিকর পাপরাশি ভূমিকা পালন করে এবং জাতীয় চেতনাকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে।
শতাব্দী থেকে শতাব্দী বাংলাদেশের এই ভূখ-ে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ তাদের স্ব-স্ব ধর্ম-কর্ম, সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠানসহ শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে এসেছে। এই সহাবস্থানমূলক বসবাসের মাধ্যমে এদেশের মানুষ গড়ে তুলেছে সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য। তবে যুগে যুগে এই ভূখ-ের জনগণ বিদেশি শাসক শোষকদের হাতে শোষিত-নিপীড়িত এবং লুণ্ঠিত হয়েছে। ব্রিটিশদের সুদীর্ঘ দু’শো বছরেরও বেশি সময় শোষণ এখনো অনেকের স্মৃতিতে দুঃস্বপ্নের মতই জেগে আছে। একইভাবে জমিদারী প্রথার মাধ্যমেও নিষ্পেষিত হয়েছে এই ভূখ-ের জনগণ। সর্বশেষ, ভারত বিভক্তি এবং তারই ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্ম হয়। ব্রিটিশ রচিত ঔপনিবেশিক আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বহাল রেখে পাকিস্তানের উঠতি পুঁজিবাদী গোষ্ঠী, বিশেষ করে সামরিক এবং বেসামরিক আমলাগোষ্ঠী এ অঞ্চলের জনগণের উপর বিমাতাসূলভ আচরণ এবং শোষণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে। ফলে এ অঞ্চল থেকে যায় অনগ্রসর, অবহেলিত এবং নিগৃহীত। নিগৃহীত জনগণের অভাব-অনটন, হতাশা ও বিক্ষোভ ক্রমঃশই পুঞ্জীভূত হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে ধূমায়িত হতে হতে ১৯৭১ সালে একটি প্রবল আগ্নেয়গিরির মতই উদগীরণ ঘটে। এই উদগীরণই পরবর্তিতে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম হচ্ছে বাঙালি জাতির ধারাবাহিক মুক্তি আন্দোলনেরই একটি স্বতঃস্ফূর্ত এবং সক্রিয় রূপ। যুগ যুগ ধরে বাঙালি জাতি দেশি বিদেশি শাসক-শোষকের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্নভাবে লড়াই করে এসেছেÑকখনও করেছে সংঘবদ্ধভাবে। নিরবিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের মধ্যে লালিত মুক্তি পাগল বাঙালি জাতি সর্বযুগেই শোষকদের কবর রচনা করেছে এবং আন্দোলনের ধারার অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭১ সালের গণঅভুত্থান ছিল একটি যুগান্তকারী গৌরবময় অধ্যায়। এ অধ্যায় রচনা করতে অসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার শিকার হতে হয়েছে। প্রাণ দিয়েছে লক্ষ লক্ষ দামাল সন্তান, তাজা রক্ত ঝরেছে অঢেল, ইজ্জত নষ্ট হয়েছে অগণিত মা-বোনের। স্বপ্ন ছিল স্বাধীন-মুক্ত হওয়া। দেশ শত্রুমুক্ত হলে এদেশে কায়েম হবে একটি শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা। খাদ্যে-বস্ত্রে দেশ হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হবে। গড়ে উঠবে স্বাধীন জাতির পুঁজি। মানুষের মান সম্মান এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দেশে থাকবে আইনের শাসন। মর্যদার দিক হতে সকল জনগণ হবে সমান। বাঙ্গালি জাতি বিশ্বে লাভ করবে একটি সুখী, স্বাধীন, সমৃদ্ধ সার্বভৌম জাতি হিসেবে। কিন্তু স্বাধীনতা পেয়েও যেন পেলাম না তা আজ প্রতিনিয়তই প্রশ্নবৃদ্ধ হয়ে থাকে।
শোষণ জুলুমের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম পরিচালনা করার অগ্নি শপথপুষ্ট চেতনার নামই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আর এই চেতনার তৈরির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক অনবদ্য জীবনী শক্তি। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের সাতচল্লিশ বছর পর মূল্যায়ন করার প্রয়োজন এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়নের পথে কতটুকু সফল আমরা হয়েছি? যদি না হয়, কেন হয়নি তাও মূল্যায়ন করা এবং সে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কোথায় বিশ্লেষণ করে যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু এ সকল ক্ষেত্রে দেশপ্রেম, নিষ্ঠা এবং সততার তীব্র তারতম্য ও ঐক্যবদ্ধ ধারণ করার বিকল্প নেই।
১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের পর থেকে ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যবাদ ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের চালে এদেশে হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন থেকেই হিন্দুরা হয়ে যায় জমিদার, মুলসমানরা প্রজা, হিন্দুরা মহাজন। এক কথায় নানা কৌশলে বাংলাদেশে উচ্চ শ্রেণী বলতে হিন্দু আর নিম্ন শ্রেণী মুসলমান হয়ে যায়। এই দুইয়ের অর্থনৈতিক সামাজিক বৈষম্য ব্রিটিশের উস্কানিতে ধর্মীয় উম্মত্ততায় ঢালাই হাওয়াতে দাঙ্গা ও শোষণ চলতে থাকে। হিন্দু-মুসলমান উভয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে আন্দোলনের মাধ্যমে। পরবর্তীকালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে আদর্শের বদলে ধর্মীয় প্রাধান্যে রাজনৈতিক চেতনায় ফুটে উঠায় সর্বত্র সাম্প্রদায়তিকতার শিকড় মজবুত হয়ে বসে। এসবের পরিণতি জঘণ্য রূপ ধারণ করে গ্রামে-গঞ্জে শহরে-বন্দরে কতবার যে দাঙ্গা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।
কিন্তু ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মধ্যে পরিস্থিতি নতুন রূপ লাভ করে। মুসলমানরা ধীরে ধীরে আধিপত্ত বিস্তারে সচেষ্ট হয়। কিন্তু মুুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সৈন্যরা ও তাদের দুসরদের নির্যাতনের ফলে হিন্দুরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে যদিও দাবি করা হয়, বাংলাদেশের রক্তাক্ত বিপ্লব ঘটে গেছে আসলে রক্তপাতই শুধু হয়েছে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেনি। তাই স্বাধীনতার পরপর যা ঘটেছে তা আত্মপ্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে। হিন্দু শরণার্থীরা গ্রামে শহরে ফিরে এসেছে, নিজেদের দোকান বাড়িতে বটে, কিন্তু বীতশ্রদ্ধ মন নিয়ে। নয়টি মাসে মানুষের পক্ষে যা সহ্য করার নয় তাই তারা করেছে।
কোন সন্দেহ নাই মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ও সাহাসী বীর। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি, কিন্তু দেশ মুক্ত হলেও মুক্তিবাহিনী আজো মুক্তি পায়নি। তারা সন্দেহ-অপবাদ, অবহেলা, হয়রানি ও ভিক্ষাবৃত্তির বেড়াজালে আবদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা ও তাদের মুক্তযোদ্ধকালীন ইতিহাস আজো অধরা কিন্তু যখন যে ক্ষমতায় যায় সেই তার মতো করে তালিকা করে, এতে স্বাধীনতার মূল চেতনাকে দুর্বল করে দেয়া হচ্ছে। তাদের প্রতি কটাক্ষ স্বাধীনতার পর হতে এখনো বিদ্যমান। এ অপমান স্বাধীনতার। মনে প্রাণে বিশ্বাস করা প্রয়োজন স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে বাংলাদেশবাসী তথা বিশ্বজনতা অস্থায়ী সরকারের এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের উপর আস্থাবান হয়ে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ উপহাস, কৌতুক ও করুণার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু অসাধু রাজাকারদের দৌরাত্মে। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেই মুক্তিযোদ্ধারা হয়েছে এবং হচ্ছে নাজেহাল। মুক্তিযুদ্ধের পরে মুক্তিযোদ্ধারাই হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের চরম শত্রু। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যদি এই হয়ে থাকে তাহলে এ দুঃখ ও লজ্জাজনক বিভক্তি, শত্রুতা এবং নিধান প্রক্রিয়া কেন? তাহলে এ মুক্তিযুদ্ধের পেছনে আসল রহস্যটা কি?
সমাজের পুনর্বাসন প্রয়োজন কাদের? সমাজের পঙ্গু, আনাথ, আঁতুর, বোবা, ভিক্ষুক, পতিতা ইত্যাদি অবেহেলিত এবং অক্ষম শ্রেণীর জন্যই প্রয়োজন পুনর্বাসনের। মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেয়া জাতির মুক্তিযোদ্ধারা কারো দ্বারা পুনর্বাসিত হয় না, বরং মুক্তিযোদ্ধারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী হয়। তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে তারাই সমাজের পুরাতন কাঠামো ভেঙে দিয়ে নতুন রাষ্ট্রীয় কাঠামো বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে সমাজের শ্রেষ্টত্ব নিগৃহীত শ্রেণীসমূহকে পুনর্বাসন করে। জাতির বীর যোদ্ধারাই যদি হয়ে পড়ে করুণার পাত্র এবং করে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন, সে জাতির সাধারণ জনগণের ভোগান্তি আর দুর্দশার যে কোন সীমাই থাকে না তা আজ আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করলেই স্পষ্ট অনুধাবণ করা যায়, অথচ ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই বাঙালি সত্তাকে বিশ্ববাসীর দরবারে নতুন আঙ্গিকে সুপরিচিত করে দিয়েছে। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ ও জাতি এ গৌরবের আসন অধিকার করেছে। এ গৌরবের অংশীদার সমগ্র জাতি।
সাধারণ জনগণকেই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের চেতনা এবং পরবর্তী সময়ের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে। কারণ যুদ্ধপূর্ববর্তী সময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী ও বুদ্ধিজীবীরা ঐক্যবদ্ধ চেতনার রূপ তৈরি করেন, কিন্তু সেই চেতনায় সাড়া দিয়ে সাধারণ জনগণ সর্বাধিক জীবন বাজি রেখেছিল এবং স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছে। এই বলে নেত্রীবৃন্দ ভুল করে যাবেন অথবা কোন স্বার্থান্বেষী মহল বিশেষ উদ্দেশ্যে চেতনাকে ধ্বংস করবে এবং আমরা চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। কারণ এই চুপচাপ থাকার মানেই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা। ছাত্র শিক্ষক, যুবক-বৃদ্ধ, শ্রমিক-জনতা, পেশাজীবী-অপেশাজীবী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মধ্যদিয়ে সুন্দর একটি সোনার বাংলা তৈরি করা সম্ভব। যার মধ্যদিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব।
ষ লেখক : প্রাবন্ধিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।