Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বোয়ালমারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত ২৪, আটক ৪

| প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্কুল থেকে তিন শিক্ষার্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্থীকে বের করে দেয়ার রেশ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের চরবর্ণি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ কমপক্ষে ২৪জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে চারটা থেকে ৬টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ সময় পুলিশ ৪জনকে আটক করে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মধুবর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিচুজ্জামান প্রতিপক্ষ ইমরান গ্রæপের ১০ম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার রেশ ধরে গত রোববার (১৭.০৯.১৭) চরবর্ণি গ্রামের যুবলীগ নেতা ইমরান শেখের সমর্থক বাবুল শেখ ও একই গ্রামের উপজেলা আ’লীগের সদস্য ও মধুবর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিচুজ্জামান (আনিচ) সমর্থক হাবিব, মঞ্জু’র মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার থানা পুলিশ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিস বৈঠকের কথা রয়েছে।
কিন্তু শালিসের অপেক্ষায় না থেকে আ’লীগ নেতা আনিস গ্রæপ গতকাল শনিবার ভোরে দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে ইমরান গ্রæপের উপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় গ্রæপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত আনিচ গ্রæপের লাল খাঁ (৫০), আনোয়ার শেখ (৩৫), বিল্লাল মোল্যা (৩০), চুন্নু মোল্যা (৩০), আছিয়া বেগম (৩৫), গাউস মোল্যা (৩৫), রাবেয়া বেগম (৫০), রবিউল মোল্যা (৩৫) ও ইমিরান গ্রæপের রহিমা বেগম (২০), আতাউর মোল্যা (৩০), আজিজুল শেখ (১৭), নাজমা বেগম (৩০), মঞ্জু (৫২), আতিয়ার মোল্যাকে (৬০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইমরান বলেন, আজ (রোববার) মিমাংসার কথা ছিল। কিন্তু তারা সে পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আনিচের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে গতকাল শনিবার ফজরের নামাজ শেষে আমার বাড়িসহ আমার লোকজনের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও গরু, ছাগল, রাজ হাঁস লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ ব্যাপারে আনিচ বলেন, ইমরানের লোকজন আমার পক্ষের হাবিবসহ তিনজনকে মারধর করে। আজ রোববার থানায় এ বিষয়ে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা আকস্মিক ভাবে গতকাল শনিবার ভোরে ইমরান তার লোকজন নিয়ে আমার পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট ও আহত করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই আবুল হোসেন বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বর্ণিচর গ্রামের সেলিম শেখ (৪৮), সাহিদ মোল্যা (৫০), আহমেদ (৩০) ও মিঠুকে (২২) আটক করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ