Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি রাজবাড়ীতে কাদা-বালুতে পুরো রাস্তা একাকার চরম ভোগান্তি

| প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


গোয়ালন্দ ( রাজবাড়ী ) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রধান বাজারের মধ্যদিয়ে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির সংস্কার কাজ খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। সংস্কারের নামে সড়কটি ভেঙে ফেলায় একদিকে যেমন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অপরদিকে সৃষ্টি হয়েছে অসহনীয় দূর্ভোগ। গোয়ালন্দ শহরের প্রধান সড়ক থেকে তরকারী বাজার, পান বাজার, মাছ বাজার, কাঠ বাজার হয়ে পদ্মার মোড় মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে এ সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়া এই সড়কের দুই পাশে রয়েছে শতাধিক ব্যবসায়া প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অল্প কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে খুব ধীরগতিতে কাজ করা হচ্ছে। দুই মাস আগে থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণের মূল কাজ করাতো দুরে থাক, এখনো পর্যন্ত পুরনো ভেঙে যাওয়া সড়ক অপসারনের কাজই শেষ হয় নাই।
সড়কের পাশের সার ব্যবসায়ী আ. জলিল মন্ডল জানান, সড়কটি এভাবে পড়ে থাকায় ইতিমধ্যে তারা ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। অতি প্রয়োজনেও সড়কে ভোগান্তির কারণে মানুষ তাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আসতে চায় না। গুরুত্বপূর্ণ এ রকম একটি সড়ক এভাবে দিনের পর দিন যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকলে এখানকার শতাধিক ব্যবসায়ী চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এসময় সড়কটি নির্মাণ কাজ দ্রæত শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।
গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, মাছ বাজার থেকে তরকারী বাজার পর্যন্ত ২০০ মিটার জড়াজীর্ণ সড়কের পুননির্মাণ কাজ চলছে। মূলত বাজারের প্রধান সড়কটি পুণনির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ওই সড়কটির কাজ করার সময় দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে হবে। তাই প্রধান সড়কের কাজ শুরুর আগে বিকল্প সড়ক হিসেবে এই সড়কটি জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী ৮ফুট প্রশস্ত এই সড়কটি ১৬ ফুট প্রশস্ত করে পুণনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কাদা-বালুতে পুরো রাস্তা একাকার হয়ে আছে। কিছু কিছু জায়গায় বালু ফেলে হেঁটে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তাছাড়া সড়কের ওপর যেখানে-সেখানে রাখা হয়েছে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী। এতে রিকশা, ইজিবাইক থেকে শুরু করে কোনো যানবাহনই ওই সড়কে চলাচল করতে পারছে না। দুই মাসের বেশি সময় ধরে শুধু পুরনো সড়ক অপসারন ও নালা (ড্রেন) নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। মূল সড়কের কাজ এখনো শুরুই হয়নি।
এই সড়কের পাশে চায়ের দোকানী নুর ইসলাম আলাপকালে জানান, বাজারের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ভেঙে ফেলার পর থেকে তার দোকানের বেচা-বিক্রী একেবারে কমে গেছে। আগে যে পরিমাণ চা বিক্রি হতো বর্তমানে তার অর্ধেকও হয় না। ভাঙা রাস্তায় মানুষ না আসলে বেচা-বিক্রি কিভাবে হবে বলে তিনি জানান। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা অনেকেই বলেন, আগে থেকেই ভাঙ্গাচোড়া এই সড়কে যাতায়াতে ভোগান্তি ছিল। কাজ শুরু হওয়ার পর ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে। অত্যান্ত ধীরগতিতে কাজ করায় জনসাধারনের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র শেখ মো. নিজাম বলেন, সরু রস্তাটি প্রশস্ত আকারে পুর্ননির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে অনেকেই ব্যবসা-বানিজ্য চালাচ্ছেন। তাদেরকে দখলমুক্ত করার একাধিক নোটিশ প্রদান করা হলেও তারা সহযোগিতা করছেন না। জনদূর্ভোগ বিবেচনা করে এদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ