বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে ফোরজি সেবা চালুর পূর্বে টেলিকম খাতে সকল ধরণের নৈরাজ্য দূর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল (শনিবার) সংগঠনটির এক বিবৃতিতে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, ইতিমধ্যেই ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের টেলিকম সেবা চালুর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু খাতের বিকাশের সাথে সাথে এ সেক্টরের নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা চরমে পৌঁছেছে। বর্তমানে এ খাতের শতভাগ গ্রাহকই টেলিকম খাতের মান নিয়ে অসন্তুষ্টি ও চরম ভোগান্তিতে আছে। ২০১৩ সালে থ্রি-জি প্রযুক্তি সেবা চালু হলেও এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ গ্রাহক এ সেবা থেকে বঞ্চিত। কারণ পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতার অভাব, ধীর গতির ইন্টারনেট সেবা, ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য, নেটওয়ার্ক দুর্বলতা, কলড্রপের পরিমাণ বেশি থাকা, থ্রি-জি সাপোর্টযুক্ত হ্যান্ডসেটের উচ্চ মূল্য, কলরেটের উচ্চ হার, প্যাকেজের নামে প্রতারণা, ব্যবকারীর ২০ শতাংশ অপব্যবহারকারী থাকা, যত্রতত্র ভাবে সিম বিক্রি, এমন কি সীমান্তের ওপারে মুঠোফোন সংযোগ থাকায় সিম বিক্রির প্রবণতা যার প্রমাণ রোহিঙ্গাদের কাছে মুঠোফোনের সংযোগ থাকা হ্যান্ডসেট। যদিও অপারেটররা বলছে থ্রি-জি চালুর জন্য তারা ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু বাস্তবে গ্রাহকরা এ বিনিয়োগের বিন্দুমাত্র সুফল পায় নাই। প্রকৃত পক্ষে তাদের এ বিনিয়োগ নিয়েও গ্রাহকদের মনে সন্দেহ রয়েছে। গত কয়েক বছর যাবত এ খাতে গ্রাহকদের নানা অভিযোগ ও হয়রানি নিয়ে সমালোচনা হলে গত বছর ২২ নভেম্বর বিটিআরসি একটি গণশুনানী করেছিল, যার সমাধান আজ অবধি জনগণ দেখে নাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।