বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে মোবাইল সিম বিক্রি করতে পারবে না কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশীয় কোন অপারেটর রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করছে এমন প্রমান পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তবে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের যোগাযোগের জন্য আগামী তিন দিনের মধ্যে কক্সবাজারে সব রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে রাষ্ট্রায়াত্ত¡ মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের বুথ স্থাপন করা হবে। এসব বুথ থেকে রোহিঙ্গারা কথা বলতে পারবেন। গতকাল (শনিবার) টেলিযোগায়োগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) কার্যালয়ে ‘মিয়ানমান থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোবাইল সিম বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা মনিটরিং সংক্রান্ত সভা’ শেষে এসব কথা জানানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, সরেজমিনে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম ব্যবহার করছেন। আমরা জানি বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ছাড়া এই সিম অ্যাকটিভ থাকার কথা নয়, কিছু ব্যক্তি অর্থের লোভে তাদের নিজের নামে থাকা নিবন্ধিত সিম বিক্রি করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে, যেটি একটি অপরাধ। রোহিঙ্গাদের হাতে থাকা সিম শনাক্তের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ১ জুলাই থেকে কোন কোন সিম অ্যাকটিভ হয়েছে, তার একটি ডেটা নেওয়া হবে। কোন কোন রিটেইলাররা সেখানে আছেন, তাদের তালিকা আছে, এসব ধরে অগ্রসর হলে সিমের সংখ্যা পরিষ্কার হয়ে যাবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে দেখা গেলেও আইন অনুযায়ী বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ছাড়া এই সংযোগ তাদের পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
অনিবন্ধিত সিম যদি পাওয়া যায় তাহলে অপারেটরদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারানা হালিম। মোবাইল কোর্ট অভিযান চালাচ্ছে, যারা সিমগুলো বিক্রি করেছেন, এটি যে তাদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তা নিয়ে প্রচারণা চালানো হবে, সেই সিমে অপরাধ হলে দায় নিতে হবে তারই। এর কোনো ব্যত্যয় হলে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হচ্ছে। তা সম্পন্ন হলে তাদের কাছে সিম বিক্রি করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী শিবিরে বুথ বসানোর কথা জানান তিনি। ক্যাম্পগুলোতে একটি করে বুথ স্থাপন করা হবে, টেলিটকের সিমের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন, খুবই স্বল্প খরচে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এ সেবা শুরু করা হবে এবং সেখানে টু জি নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে টেলিটককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ১৫টির মতো ক্যাম্পে বুথ স্থাপন করার পাশাপাশি যখনই নতুন ক্যাম্প হবে সেখানেও বুথ বসানো হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এসব বুথে আপাতত স্থানীয় কল করতে পারবেন, আন্তর্জাতিক কল করতে পারবেন না। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।