Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নবীনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:০২ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আমতুলী পূর্বপাড়া গ্রামে ইউপি নির্বাচনের বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় শতাধিক বাড়িঘর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হয়।

শনিবার ভোর সকাল পাঁচ থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপি এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আনোয়ারের গোষ্ঠী ও কালার গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে সাহেব বাড়ি লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার ভোরে আনোয়ারের গোষ্ঠী ও কালার গোষ্ঠীর দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা, বল্লম, টেঁটা, ছুরি ও লাঠি নিয়ে সাহেব বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দুই ঘণ্টাব্যাপি হামলা চালিয়ে সাহেব বাড়ির শতাধিক বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় অন্তত পাঁচটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। ঘরের ভেতরে গৃহসামগ্রী খাট, টেলিভিশন, ফ্রিজ, আলমারি, শোকেস, কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে যায়।

দুপুরে আমতুলিপূর্বপাড়া গ্রামের সাহেববাড়ির অন্তত ২৫-৩০টি বসতঘর সরেজমিন ঘুরে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের চিহ্ন দেখা গেছে। সাহেব বাড়ির কুলসুম বেগম, কর্নেল শাকিল, মোল্লা মিয়া, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সোহরাব মিয়ার, কালা মিয়া, ইছহাক মিয়ার ঘরের বেড়ায় দেশীয় অস্ত্রের কোপের চিহ্ন দেখা গেছে। তাদের প্রত্যেকের ঘরের আসবাবপত্র বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছটিয়ে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে জজ মিয়া, মোমিন মিয়া, কালা মিয়া, মামুন মিয়া বসতঘরে সকল আসবাব পুড়ে যাওয়ার ছাই পড়ে রয়েছে।

গৃহবধূ কুলসুম বেগম বলেন, হামলাকারী আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বসতঘরে ঢুইককা ভাঙচুর কইরা নগদ টেহা ও স্বর্ণের অলংকার লুট কাইরা লইয়া গেছে। সাহেববাড়ির বরকত মিয়া জানান, ফিল্মি স্টাইলে তারা আমাদের সাবেব বাড়ির শতাধিক ঘরে দুই ঘণ্টাব্যাপি হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কোটি টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। আমতুলি পূর্বপাড়া গ্রামের মোল্লা মিয়া, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সোহরাব মিয়ার, কালা মিয়া বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এসব ঘটনায় আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। পূর্বের ঘটনার রেশ ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম শিকদার জানান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ১১জনকে আটক করেছে।

ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ