Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দৃষ্টিনন্দন জলপ্রপাত দেখতে মুহুরী প্রকল্পে দর্শণার্থীদের ভিড়

| প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : সাধ্য ও সামর্থের মধ্যে জলপ্রপাত এখন মীরসরাইয়ের মুহুরী প্রকল্পে। সুদূর আমেরিকা আর কানাডার মধ্যবর্তি নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার সৌভাগ্য অনেকেরই ভাগ্যে জুটে না। কিংবা পৃথিবীর আরো খ্যাত অখ্যাত জলপ্রপাত ও কতোজনই বা দেখতে পারছেন? কিন্তু চট্টগ্রাম, ফেনী কুমিল্লা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল সহ আসে পাশের জেলার মানুষ মীরসরাইয়ের মুহুরী প্রকল্পে সৃষ্ট অপরুপ জলপ্রপাত দেখতে ভীড় জমাতে দেখা যাচ্ছে। এই প্রাকৃতিক জলপ্রপাত দেখার বছরের এখনই শেষ সময়।
বর্ষার শেষ সময়ের এই ভরাট মৌসুমেই ফেনী ও মুহুরী নদীর এই প্রকল্পে ভারতীয় পানি সহ বর্ষার পানি চাপ দেয়ায় ¯øুইস গেইটের ৪০টি দরজাই খুলে দেয়ায় সৃষ্ট জলপ্রপাত এক অনন্য নান্দনিক দৃশ্যের অবতারনা হয়েছে এখানে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী রুমা সরকার বললেন ‘সতিই পানি ও কুয়াশার মাঝে সৃষ্ট ঘুমন্ত এক সৌন্দর্য্য’ যেন জেগে উঠেছে জলের গুড়মুড় ছলাৎ শব্দে। জলের আছড়ে পড়ার শব্দ আর জলের মাতাল খেলা থেকে সৃষ্টি জলীয় বাস্প প্রকল্প এলাকা জুড়ে সৃষ্টি করেছে কুয়াশাচ্ছন্ন হিমেল ছোঁয়া খুব ভাললাগা বললেন তিনি।
চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলা আর ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা মধ্যবর্তী আশির দশকে সৃজন করা মুহুরী প্রকল্প এলাকার প্রধান ¯øুইস গেইটের ৪০ টি ফটক সৃষ্টি করেছে এই জলপ্রপাত। বর্ষা আর জলের চাপ কমে গেলে এমন রুপ থাকবে না হয়তো বেশীদিন। যা সব সময় দৃশ্যমান হয় না।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসই এই জলপ্রপাত দেখার শেষ সময়। বর্ষণ বন্ধ হয়ে গেলেই একে একে বন্ধ হয়ে খোলা গেট কমতে থাকবে আর পূনরায় বর্ষা এলেই পাওয়া যাবে এমন জলপ্রপাত। শেষ বিকেলে দেখতে পাবেন মহেশ এর দল। দেখতে পাবেন ভেড়ার দল। বকের সারি। মাছরাঙ্গা। সূর্যাস্তের পূর্বে বায়ু বিদ্যুতের ঢানাগুলো দেখা যাবে লালীমা ভেদ করে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে। দেখবেন মূল গেইটের জলের বিশাল দেহ নিয়ে ছলাৎ ছলাৎ বিকট শব্দে গড়িয়ে পড়া দেখতে অনেক আগন্তুক অপলক বিমোহিত হয়ে তাকিয়েই আছেন। প্রকৃতি তার অকৃপন হাতে সকল সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে ফেনী ও মুহুরী নদীর মোহনার সৃষ্ট মুহুরী প্রকল্প এলাকা হতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা হয়ে সীতাকুন্ড পেরিয়ে পতেঙ্গা অবধি। দেশের যে কোন স্থান থেকে মুহুরী প্রজেক্টের সড়ক যোগাযোগ তথা যাতায়াত ব্যবস্থা যথেষ্ট সুবিধাজনক। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই এলাকার জোরারগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি পশ্চিম দিকে চলে গেছে, সেটিই সহজতর ও একমাত্র রাস্তা। মুহুরী প্রজেক্ট বললেই যে কেউ দেখিয়ে দিবে লোকেশান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ