বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুবি সংবাদদাতা : মরিচা পড়া রডে দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল নির্মাণ কাজ চলছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। এদিকে মরিচা পড়া রডে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে কিছু দিন আগে বাধাও দেন শিক্ষার্থীরা। তবে বাধা উপেক্ষা করে আবারও নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে খোকন এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিন দেখা যায়, বেশ কয়েক টন রড স্তুপ করে রাখা হয়েছে। মরিচা পড়ায় প্রায় সব রড প্রকৃত রুপ হারিয়েছে। ভবনের মূল ভিত্তিগুলো স্থাপনের ঢালাইয়ে ব্যবহৃত রডগুলোও মরিচা পড়ে আছে। এর আগে মরিচা ধরা রড দিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে এমন অভিযোগে কাজে বাধাও দেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেই বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে নিচ্ছে ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও নিয়ম বর্হিভূতভাবে রাতে ঢালাই কাজ করা হয় এমন অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। রাতে ঢালাই দেয়ার ফলে গেল ১৫ আগস্ট ঢালাইয়ের একদিনের মাথায় একটি বেইজ (ভিত্তি) ভেঙ্গে পড়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং নিয়মবর্হিভূত ঢালাইয়ের কারণে সেই সময় এই বেইজটি ভেঙ্গে পড়ে। এদিকে ঢালাই কাজের প্রায় তিন মাস আগেই এই রডগুলো এনে খোলা আকাশের নিচে স্তুপ করে রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিতব্য এ ছাত্রী হলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ। তবে খোকন এন্টারপ্রাইজ জোর করে রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে কয়েক শতাংশ লাভ দিয়ে কাজটি নিয়ে নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং স্থানীয় কয়েকজন প্রভাশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে। কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, কাজটি পেতে খোকন এন্টারপ্রাইজ প্রায় কয়েক লাখ টাকা বিভিন্ন মহলের প্রভাশালী কয়েকজন ব্যক্তিকে দেয়।
মরিচা পড়া রড ঢালাই কাজে কেন ব্যবহার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে খোকন এন্টারপ্রাইজের সত্ত¡ধিকারী খোকন জানান এ কাজ তার ভাই জাহাঙ্গির দেখাশুনা করেন। জাহাঙ্গিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সাথে আমি দেখা করে সব বলব।’ তবে নি¤œমানের সামগ্রী বিষয়টি সঠিক নয়।
এদিকে, মরিচা ধরা রডে নির্মাণ কাজ হচ্ছে কিন্তু প্রকৌশল দপ্তর তদারকি করছে কিনা এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শহিদুল হাসান বলেন, ‘আমরা মরিচা ধরা রডে কাজ হতে দেব না।’ ঢালাই কাজের তিন/চার মাস আগে রড এনে স্তুপ করে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রড অবশ্যই কয়েক মাস আগে আনা উচিত নয়। কেননা এটা খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টি, বাতাস ও ধুলায় নষ্ট হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।