Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুদামে রক্ষিত দাহ্য পদার্থ থেকেই ভয়াবহ অগ্নিকাÐের

দীর্ঘ ১০ মাস পর বন্দরের অগ্নিকাÐের প্রতিবেদন

| প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:০৪ পিএম


বেনাপোল অফিস : দীর্ঘ ১০ মাস পর দেশের সর্ব বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে গুদামে রক্ষিত দাহ্য পদার্থ থেকেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয় বন্দরের ২৩ নাম্বার গুদমে রক্ষিত কেমিক্যাল জাতীয় দাহ্য পদার্থ থেকেই সংগঠিত হয় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড।
গতকাল সকালে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম সাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান শেষে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
জানা যায়, কম খরচে দ্রæত বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করা যায় বিধায় দেশের সিংহ ভাগ শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস উন্ডাস্ট্রিজ এর কাচামাল অমাদনি হয় এই বন্দর দিয়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধাজনক হওয়ায় এ পথে ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বন্দরে বিরাজমান নানা সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। বন্দরে মাত্র ৪৩টি পণ্যাগার, একটি রফতানি টার্মিনাল ও একটি ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল রয়েছে। বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার মে.টন কিন্তু সব সময় আমদানি পণ্য থাকে দ্বিগুণ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বেনাপোল বন্দর প্রায় ৫০ হজার মানুষ জীবিকার সাথে জড়িত। সরকার বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে বেনাপোল বন্দর থেকে। গত বছরের ০২ অক্টোবরে বেনাপোল বন্দরের ২৩ নম্বর পণ্যাগারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৩৭ জন আমদানিকারকের ৫’শ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বন্দর থেকে পণ্য চুরি, বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত ও অব্যবস্থাপনার কারনে বন্দর তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গত এক যুগ ধরে বন্দরে পণ্য চুরি রোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হলেও আজ পর্যন্ত তা বা¯তবায়ন হয়নি। বন্দরের শেড ইনচার্জরা অনিয়ম করে এখনও পণ্যাগার গুলোতে অন্যান্য পন্যেল সাথে কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ নামাচ্ছেন।
বন্দরের ৩১ নাম্বার শেডের ইনচার্জ সুপারিন্টেন্ডেন্ট মনির হোসেন জানান, বন্দরের পোস্টিং শাখা থেকে যদি সাধারণ পণ্যের পণ্যাগারে কেমিক্যাল ও দাহ্য জাতীয় মালামাল নামানোর অনুমতি দেন তাহলে তাদের কিছুই করার থাকে না। বন্দরে জায়গা সংকট এর কারনে একই গুদামে বিভিন্ন প্রকার মালামাল ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়। বন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে বন্দরের ১০ নাম্বারসহ ১০টি পণ্যাগারে আগুনে পুড়ে ক্ষতি হয় ৩০০ কোটি টাকার পণ্য, ২০০১ সালে ২৬ নাম্বার পণ্যাগারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতি হয় ৬’শ কোটি টাকা।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, বন্দরে ১০০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্টের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা বসানো ও অন লাইন এর কাজ চলছে আগামী বছর থেকেই চাল হবে বলে আশা রাখি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ