Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রায়পুরে যাত্রীছাউনিতে চলে ব্যবসা

| প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


হারুনুর রশিদ, রায়পুর (ল²ীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ল²ীপুর-রায়পুর ও ফরিদগঞ্জ অঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে নির্মিত যাত্রীছাউনিগুলো হকারদের দখলে। এতে যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টিতে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কয়েকটি যাত্রীছউনি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি যাত্রীছাউনি।
জানা গেছে, জেলা পরিষদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা অর্থায়নে তিন-চার বছর আগে ল²ীপুর-রায়পুর ও ফরিদগঞ্জ অঞ্চলিক মহা সড়কের আশপাশের এলাকায় চারটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের বছর খানিকের মধ্যে যাত্রীছাউনিগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে হকার ও দোকানিদের ভাড়া দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। এতে যাত্রীরা ওই ছাউদিতে দাড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করতে পারে না।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাখালিয়ার বাজার এলাকার যাত্রীছাউনি অবৈধ করে চা দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন এক ব্যক্তি। বোয়ার্ডার বাজার এলাকার আরেকটি যাত্রীছাউনির অবকাঠামোর কোনো অস্তিত্বই নেই। যাত্রীছাউনির বেঞ্চের সামনে বিক্রি করা হচ্ছে ফার্নিসার। প্রায় একই অবস্থা রয়েছে উপজেলার চারটি যাত্রীছাউদির। যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যবসা করা সম্পর্কে জানতে চাইলে হকারদের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। বাখারী বাজার এলাকার আনোয়ার (৪২) নামের এক ব্যক্তি বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ আমরা এর সুফল ভোগ করতে পারছি না। ছাউনি এখন হকারদের দখলে। এ জন্য রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রীদের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তিনি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।
জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মামুন বিন জাকারিয়া বলেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় বহু যাত্রীদের। যাত্রীদের কথা চিন্তা করে জেলা পরিষদের উদ্যোগে যাত্রীছাউনিগুলো করা হয়েছে। সরকার যাত্রীদের জন্য ছাউনি বানাবেন যাত্রীদের জন্য, আর সেখানে অবৈধ দখলদারেরা ব্যবসা করে অন্য ব্যক্তি এটা হতে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করে দ্রæত সমাধান করা হবে।
উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, সড়কে পাশে থাকা ছাউনিগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ