বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : পুনর্বাসনের দাবিতে খুলনায় কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শের-ই-বাংলা বিপণীকেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শের-ই-বাংলা বিপণীকেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত দেড় শতাধিক ব্যবসায়ী পুনর্বাসনের দাবিতে এ মিছিল করেন।
শের-ই-বাংলা বিপণীকেন্দ্রের দোকান ঘর মালিক সমিতির উদ্যোগে বিপণীকেন্দ্রের সামনে থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে বিপণীকেন্দ্রের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি চ ম মুজিবর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় শের-ই-বাংলা বিপণি কেন্দ্রের ১৫০ ব্যবসায়ী উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। এ অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। তাদের পুনর্বাসনের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
চ. ম মজিবুর রহমান আরও বলেন, দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে দেড় শতাধিক ব্যবসায়ী রেলওয়ের লাইসেন্স নিয়ে সরকারের সব ধরনের রাজস্ব দিয়ে সেমিপাকা দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছেন। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান যুক্ত। এ অবস্থায় দীর্ঘদিনের কর্মসংস্থান হারিয়ে চরম মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
তিনি অবিলম্বে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানান। সমাবেশে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন বাবরসহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, অসহায় হতাশাগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা খুলনার ৫ সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ রেলমন্ত্রী, সচিবসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর বিকল্প স্থানে রেলের পরিত্যক্ত জমিতে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। এছাড়া পুনর্বাসনের দাবিতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে স্মারকলিপি, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এক পর্যায়ে গত বছর ১ জুন রেলমন্ত্রী, সচিব ও রেলওয়ের ডিজি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে (পাকশি) নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে ব্যবসায়ীরা ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেও কোনো কাজ হয়নি। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। হতাশাগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
সমাবেশে জানানো হয়, আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ মার্চ খুলনা রেলভবন ঘেরাও ও প্রতিবাদ সভা, ১৯ মার্চ বিপণীকেন্দ্রের সামনে অবস্থান ধর্মঘট এবং ২০ মার্চ মানববন্ধন করবেন ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।