বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ ২ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গোসাইরহাট বাজারে চারজন পুলিশ টহলরত ছিল। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ১৫০ থেকে ২০০ জন ডাকাত বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গোসাইরহাট বাজারে আসে এবং টহলরত চারজন পুলিশের দুইজন পুলিশকে হাত পা বেঁধে ফেলে, আর বাকি দুইজন পুলিশকে বলে, থানায় খবর দে এবং তোদের যত ক্ষমতা আছে আমাদের দেখা। পরে ডাকাত দল গোসাইরহাট বাজারের নিউ.আর.কে গিনি হাউজ, জনক অলংকার ভবন, নিউ শিলা হাউজ ও দীলিপ স্বর্ণ হাউজ, একটি মুদি দোকান ও একটি মোবাইলের দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দোকানে হামলা চালায়। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতরা লুট-তরাজ চালায়। কিন্তু পুলিশ সংবাদ পাওয়া সত্ত্বেও ডাকাতদের ধরার জন্য এগিয়ে আসেনি। এতে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ কাজে বাঁধা দিতে আসলে একজন গুলিবিদ্ধসহ দুইজন আহত হয়। আহতরা হলেন সুকমল কর্মকার (গুলিবিদ্ধ) ও কৃষ্ণ দাস।
দোকানীরা বলেন, গত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত একদল ডাকাত আমাদের বাজারে হামলা চালায়। আমাদের বাজারের চারটি স্বর্ণের দোকানসহ একটি মুদি দোকান ও একটি মোবাইলের দোকানে ডাকতি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১ কোটি মূল্যের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে থানায় সংবাদ পাঠালেও পুলিশ বাজারে আসেনি।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনা সত্য। আমাদের দুইজন পুলিশ সদস্যকে বেঁধে ডাকাতরা বাজারে ডাকাতি চালায়। আমরা বাজারে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।