রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বহেরাতলায় অসহায় একটি বিধবা পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন বিধবার মেয়ে কামরুন্নাহার বেগম। প্রভাবশালী একটি মহল গাছ কাঁটার মিথ্যা মামলা দিয়ে সু-কৌশলে বৃদ্ধা মা ও তার ছেলে হাজতে থাকার সুযোগে ওই বিধবার তালাবদ্ধ ঘরের গ্রিল কেঁটে জমির মূল্যবান কাগজপত্রসহ মালামাল লুটেরও অভিযোগ করেছেন। কামরুন্নাহার লিখিত অভিযোগে জানান, তার পিতা হাজী আব্দুল আঃ খালেক প্রায় ত্রিশ বছর আগে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর বৃদ্ধা মা কহিনুর বেগম তার ভাই সবুর ও তাকে নিয়ে বহু কষ্টে বসবাস করে আসছেন।
বসতঘরের পাশে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বহেরাতলা বাসষ্টান্ড সংলগ্ন তার পিতার ক্রয়কৃত জেএল নং ২১, (দাগ নং ১১৪৪/১১৪৯) এর ৯ শতাংশ জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এক স্থানীয় প্রভাবশালীর। ওই মহলের হোতা পাতাকাটা গ্রামের মৃত মোবারক আলী আকনের পুত্র শহিদুল ইসলাম আকন বাদী হয়ে সম্প্রতি গোপনে তাকে ও তার মামা মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মিয়াসহ ৬ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা গাছকাটা মামলা দায়ের করে। তারা আদালতের পাঠানো নোটিশ গোপন রেখে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করান।
থানা পুলিশ গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর-১৭ তার মা ও ভাইকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় এবং অভিযোগকারীনি গ্রেফতার এড়াতে পলাতক থাকে। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ শহিদুল স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের ছত্র ছায়ায় গত ১৫ সেপ্টম্বর-১৭ তার বাবার ক্রয়কৃত প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ওই ৯ শতাংশ জমি প্রকাশ্যে দখল করে টিন ও তাঁর কাঁটার বেড়া দিয়ে স্থাপনা তৈরি করে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরোয়ার হোসেন ছগির বলেন, বিধাব বৃদ্ধা ও তার ছেলে জেলে থাকা অবস্থায় বিরোধীয় জমিতে এভাবে ঘর উত্তোলন করা অমানবিক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম আকন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিকানা দাবী করে বলেন দীর্ঘদিন ধরে আমি ওই জমির দখল নিতে পারিনাই। সুযোগ পেয়েছি তাই জমির দখল নিয়েছি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, আদালতের ওয়ারেন্ট থাকায় বিধবা ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠাই। বাদীর জমি দখলের ষড়যন্ত্র ছিল তা আমার জানা ছিল না।খবর পেয়েই পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করিয়েছি। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।