Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বাদীর বাড়িতে দুর্বৃত্তদের ভাংচুর-লুটপাট

মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৪:৪৩ পিএম

সাতক্ষীরায় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সাঈদুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের দুই এসআইসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করায় দুর্বৃত্তরা বাদীর বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলা তুলে না নিলে বাড়ির সবাইকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। শুক্রবার ভোর রাত তিনটার দিকে সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মামলার বাদী বজলুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা বাদীর বাড়িতে ভাংচুর, মালামাল লুটপাট ও একটি দামি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়াসহ বাদী বজলুর রহমানের ছেলে রাকিবুজ্জামানকে ব্যাপক মারটি করে। মামলা তুলে না নিলে বাদীর স্ত্রীকে বিধবা, বোনকে পিতা-মাতা হারা ও ছেলেকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়।

মামলার বাদী বজলুর রহমানের ছেলে রাকিবুজ্জামান জানান, প্রথমে ১০/১৫ জন দুর্বৃত্ত আমাদের বাড়িতে যেয়ে আমার বাবাকে ডাকা ডাকি করতে থাকে। এ সময় ঘরের ভিতর থেকে বলা হয় বাবা বাড়িতে নেই। এরপর তারা প্রথমে বারান্দার গ্রিল ভেঙ্গে ফেলে। পরে দরজায় আঘাত করে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর মামলার বাদী আমার বাবা বজলুর রহমানকে না পয়ে আমাকে (রাকিবুজ্জামানকে) ব্যাপক মারপিট করে। আমি তখন বলি, আমি অনেক অসুস্থ, আমাকে মারবেন না। তখন দুবৃর্ত্তরা বলে তোর বাপকে মামলা তুলে নিতে বল নইলে তোকে মেরে ফেলবো। সন্ত্রাসীদের মাথায় সবারই হেলমেট পরা ছিল ও তাদের সাথে তিনজন পুলিশ সদস্যও ছিলেন বলে বাদীর স্ত্রীসহ তারা জানান।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নাই।

এদিকে, আদালতে মামলা দায়েরের পর আসামী এস আই আসাদুজ্জামানকে পাটকেলঘাটা থানায়, এস আই পাইক দেলোয়ারকে পুলিশ লাইনে, এ এস আই আশরাফুজ্জামানকে খোর্দ্দ পুলিশ ফাঁড়িতে এবং এ এস আই সুমন হাসানকে অন্য একটি ফাঁড়িতে বদলী করেছেন পুলিশ সুপার। শুক্রবার সকালে বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ চারজন পুলিশ কর্মকর্তা সদর থানায় দায়িত্বরত ছিলেন। এরা সবাই বহুল আলোচিত।

উল্লেখ্য,চলতি মাসের গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরায় পুলিশের নির্যাতনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সাঈদুর রহমান। এ ঘটনায় পুলিশের দুই এসআই, দুই এ এস আই ও দুই কনস্টেবলকে আসামী করে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১ এ ২০ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই বজলুর রহমান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পিবিআই খুলনাকে নির্দেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ