Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহাসড়কে থামছে না অবৈধ যান

হাইকোর্র্টের নিষেধাজ্ঞার পরও...

| প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ী জেলায় হাইকোর্র্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে অবৈধ নসিমন, করিমন, ভডভডি ও মাহিদ্র অবাধে চলছে। বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। রাজবাড়ী -ফরিদপুর ও গোয়ালন্দ মোড়-দৌলতদিয়া মহাসড়কে এ সকল অবৈধ যানবাহন পুলিশ প্রহারায় চলছে। পুলিশে মাসহারা বিলম্ব হলে অবৈধ এ সকল যান আটক করা হয়। জেলায় কয়েক হাজার অবৈধ যানবাহন থাকিলেও পুলিশের কাছে তার তালিকা নেই। থানায় গাড়ী এনে ছেড়ে দেওয়ার বাণিজ্য রমরমা হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে রহস্যজনক কারণে নীরব। গত ২ মাসে অর্ধ শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। মোগগুলের দোকান এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুসহ তিনটি মামলা হয়েছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে এ সকল যানবাহনের চালকদের কোন ড্রাইভিং লাইন্সেস নেই। সরকারের বিআরটিএর কোন রুট পারমিটও নেই। অথচ হাইওয়ে পুলিশের প্রহরায় চলছে অবৈধ যানবাহন। জানা যায়, পুলিশের মাসহারা দিয়ে চালকরা দিবারাতে এ সকল অবৈধ গাড়ী চালাচ্ছে। হাবিব মটরস, মাসুদ মটরস ঝিনাইদাহ, মুক্তার মটরস, বাদশা মটরস, আলামীন মটরস কুষ্টিয়া, আয়শা মটরস মাগুরা, সাতক্ষীরার আলিফ মটরস, শাহজাহান মটরস প্রভৃতি ব্যানারের ট্রাকের নিকট থেকে মাসহারা আদায়ের করনে মামলা হয় না। সরকার প্রতি মাসে রাজস্ব হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিলম্ব ঘটিলেই পুলিশ অবৈধ গাড়ী আটক করে। থানায় এনে এ সকল গাড়ী বিরুদ্ধে অধিকাংশই মামলা হয়নি। সন্ধ্যার পর দালাল চক্রের মাধ্যমে গাড়ী প্রতি ২/৩ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক দারোগা জানান, আমরা দিনের বেলায় রোদ বৃষ্টির মধ্যে ধাওয়া করে অবৈধ গাড়ী আটক করলেও সন্ধ্যার পর স্যার ছেড়ে দেন। বর্তমানে অবৈধ গাড়ী আটকের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ নবী হোসেন খান জানান, উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২/১ টি নসিমন ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ