Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

স্বনামে-বেনামে হয়েছে বহু সম্পত্তির মালিক

ময়মনসিংহে সিভিল সার্জনের ড্রাইভার একই কর্মস্থলে ২২ বছর

| প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহে সিভিল সার্জনের ড্রাইভার মো: হাফিজ মিয়া একই কর্মস্থলে একটানা ২২ বছর যাবত কর্মরত রয়েছে। ফলে সিভিল সার্জনের নাম ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে হয়েছেন কোটিপতি। এনিয়ে সমালোচনার ঝঁড় বইছে সংশ্লিষ্ট দফতরের ভেতরে-বাইরে। সচেতন মহলের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে দিনে দিনে ক্ষমতার অপব্যবহার আরো বাড়তে পারে। েেজলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, মো: হাফিজ মিয়া সিভিল সার্জনের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত থাকলেও সম্প্রতি তিনি ডেপুটেশনে বিভাগীয় পরিচালকের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে তার স্থলে তারই পছন্দের ড্রাইভার বাদশা মিয়াকে ভালুকা থেকে বদলী করে নিয়ে এসেছেন সিভিল সার্জনের ড্রাইভার হিসেবে।
সূত্রের অভিযোগ, সিভিল সার্জনের ড্রাইভার মুক্তাগাছা উপজেলার নিমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: হাফিজ মিয়ার চাকরী জীবনের শুরুতে আর্থিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল না থাকলেও বর্তমানে তিনি কোটিপতি। হয়েছেন স্বনামে-বেনামে বহু সম্পত্তির মালিক। সম্প্রতি তিনি মুক্তাগাছা উপজেলার কুমারগাতী গ্রামে ১৩ কাঠা জমির উপর গড়ে তোলেছেন গরু ও দুম্বার খামার। জায়গা ও স্থাপনা র্নিমানে এতে ব্যায় করেছেন কয়েক কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি দেখবালে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুইজন কর্মচারী।
কর্মচারী বাবুল মিয়া জানান, তিনি বিগত প্রায় ৬/৭ বছর যাবত এ খামারে ৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরী করছেন। তার সাথে আরো একজন রয়েছে। সেও বেতন পায় ৮ হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময় সিভিল সার্জনদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্য করে হয়েছেন কোটিপতি। ফলে নগরীর খাগডহরস্থ রহমতপুরে জায়গা ক্রয় করে নির্মান করেছেন আলীসান বাড়ী। এতেও ব্যায় করেছেন প্রায় কোটি টাকা। এছাড়াও তার নামে-বেনামে আরো অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলেও সূত্রের দাবি।
অপর একটি সূত্রের অভিযোগ, চাকরীতে যোগদানকালীন সময়ে হাফিজ মিয়া প্রকৃত বয়স গোপন করে কম বয়স দেখিয়ে নিয়োগ লাভ করেন। স্বাস্থ্য পরিক্ষা করলেই সত্য প্রকাশিত হবে বলেও দাবী সূত্রের। জানা যায়, সিভিল সার্জনের ড্রাইভার মো: হাফিজ মিয়া ১৯৯৬ সালে চাকরীতে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি একই কর্মস্থলে কর্মরত। ফলে কর্মস্থলে তিনি বেশ প্রভাবশালী। তাই তো তিনি প্রায় সময়ই প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের ঢাকা-মেট্রো-গ-১৫-২৫২৯ নম্বরের একটি প্রাইভেট কার ও একটি পাজারো গাড়ী নিয়ে ঘুরে বেড়ান নিজের প্রয়োজনে। মাঝে মাঝেই ছুটে যান তার খামার বাড়ীতেও।
এসব বিষয়ে ড্রাইভার মো: হাফিজ মিয়া বলেন, ১৩ কাঠা জমির উপর গরু ও দুম্বার খামার করেছি। জায়গা কিনে বাড়ীও করেছি। এতে খরচ হয়েছে কোটি টাকা। তবে কঠোর পরিশ্রম করে সম্পদ গড়েছি। চাকরীর পাশাপাশি জমি কেনা-বেচা করেছি। এখন তো অনেকেই অনেক কথা বলতে পারে, বলে দাবী করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ