Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বিপ্লব

| প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছে। এ পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলার (উচ্ছে) বাম্পার ফলনে দেখা দিয়েছে সম্ভাবনার নবদিগন্ত। এতে একই জমির বহু ব্যবহারে কৃষকের আয় যেমন কয়েক গুণ বাড়ছে, তেমনি দেশের সবজির চাহিদা মেটাতেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা। সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি বিলে দেখা গেছে, শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলার চাষাবাদ করা হয়েছে। মাচায় ঝুলছে হাজার হাজার করলা, শত শত লাউ ও কুমড়া। একই সাথে ঘেরের বেড়িতে লাগানো হয়েছে পুইশাক ও ঢেড়স। মিঠাবাড়ির কৃষক মমিনুর রহমান জানান, তিনি তার ছয় বিঘা জমির ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলার চাষাবাদ করেছেন। মাঘ মাস পর্যন্ত এভাবেই মাছের পাশাপাশি সবজি উৎপাদন চলবে। তারপর পানি শুকিয়ে গেলে রোপন করা হবে ধান। তিনি বলেন, তার ছয় বিঘা ঘেরে নেট, বাশ ও কট সুতা দিয়ে মাচা তৈরিতে আট হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বাম্পার ফলনে ইতোমধ্যে লাখ টাকা ছাড়িয়েছে আয়। আরও হবে। ১০ বছর যাবৎ মাচা পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনকারী মমিনুর রহমান আরও বলেন, মাচা তৈরির খরচ প্রতিবছর হয় না। দুই-তিন বছর পরপর মাচা তৈরি করতে হয়। এতে লাভের পরিমান বাড়ে। শুধু মমিনুর রহমানের ঘের নয়, পার্শ্ববর্তী কৃষক বাক্কার সরদার, আজিবার মোড়ল, জাহিদ হোসেনের ঘেরসহ যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। প্রত্যেকের ঘেরের মাচায় ঝুলছে করলা, লাউ ও কুমড়া। এ যেন সম্ভাবনার নব দিগন্ত। তবে, শুধু তালা উপজেলা নয়, জেলার কালিগঞ্জ, কলারোয়া, দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়ও ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ কৃষিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, সাতক্ষীরায় যে পরিমান সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে তার ৩০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ঘেরের আইলে অথবা ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় চলে যায়। এছাড়া লাভজনক হওয়ায় মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ দিন দিন বাড়ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ