বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া দাতার ছড়াছড়ি প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের প্রতারনায় ভিটে বাড়ি হারিয়েছে বহু পরিবার। কাঞ্চন পৌর এলাকার কৃষ্ণনগর মৌজায় মৌজায় সংখ্যালগু পরিবারের নিতাই মন্ডলের মেয়ে রানী মন্ডলের ২৭ শতাংশ জমি ভুয়া দাতা সাজিয়ে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে ভুঁয়া দাতা হিসেবে ব্যবহার হওয়া ঢাকার সবুজবাগ এলাকার রানু বেগম জানান, রূপগঞ্জের কৃষ্ণনগর মৌজায় একই এলাকার আফরদ্দিনের ছেলে জাইদুল ইসলাম, ইদ্রিস আলীর ছেলে শাহীন মিয়া, মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে আতিকুর রহমান, কাছিমউদ্দিন বেপারীর ছেলে জাহাঙ্গির আলমসহ একটি প্রতারক চক্রের প্রলোভনে পরে একই মৌজার নিতাই মন্ডলের মেয়ে রানী মন্ডলের ১১৫ শতক জমি আতœসাতের ভুয়া দাতা হিসেবে তাকে ব্যবহার করে। তিনি নিরক্ষর থাকায় তাদের প্রতারণা বুঝতে না পেরে ও ভুল বুঝিয়ে বায়নাপত্র দলিল নং ৯৭১৫/১৭ ও আমমোক্তার দলিল নং ৯৭১৬/১৭ মাধ্যমে প্রকৃত দাতা রানী মন্ডলকে নকল করে রানী বেগমকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানতে পারেন। এভাবে জমিটি বিক্রি করে দেয়ার পায়তারা করার সময় জানতে পারেন মুসলিম হওয়া স্বত্তেও হিন্দু সাজিয়ে উক্ত প্রতারক চক্র জমি আতœসাতের জন্য চেষ্টা করেছে। পরে এ বিষয়ে রানী বেগম নিজে বাদী হয়ে ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে, প্রলোভনে পরে ভুয়া দাতা হিসেবে ব্যবহার হওয়া গোয়ালপাড়া এলাকার মোস্তফা মিয়া জানান, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের মৃত লেবু দাসের স্ত্রী মৃত বিমলা বেওয়ার একমাত্র সন্তান ছিলেন মৃত অভয় চরণ দাস। উক্ত অভয় চরণ দাস মারা গেলে তার দুই পূত্র বিপদ চন্দ্র দাস ও অণিল চন্দ্র দাসকে রেখে যান। কিন্তু তাদের মালিকানাধীন কেয়ারিয়া মৌজার সিএস, এসএ ও আরএস দাগ নং ১৯ ও ২২ নং দাগে মোট ১০৫ শতাংশ জমিটি আত্মসাতের জন্য স্থানীয় একটি চিহ্নিত প্রতারকচক্রের হোতা গোয়ালপাড়া এলাকার সফিকুল ইসলাম ওরফে ইয়াবা শফি ও বাগবের এলাকার জমির দালাল নজরুল ইসলাম তাকে (মোস্তফা মিয়া) সিএস রেকর্ডীয় মালিক বিমলা বেওয়ার ভুয়া বিমল চন্দ্র দাস সাজিয়ে দলিল সৃজন করে। রেকর্ডীয় মালিক বিমলা বেওয়ার একমাত্র ছেলে অভয় চরণ দাস হলেও প্রতারকরা কাল্পণিক ভুয়া ওয়ারিশ সনদ গত ০৯/০১/২০০৯ইং ২৬/০৯ তে বিমল চন্দ্র দাস দেখানো হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিমল চন্দ্র দাস নামে কোন আদিবাসির অস্তিত্বই নেই। তারপরও প্রতারক চক্র স্থানীয় গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত রেইজদ্দিন মিয়ার ছেলে মোস্তফা মিয়াকে ১০৫ শতক জমি থেকে মাত্র ১০ শতক জমি দেয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতারণায় সহযোগী জমির দাতা হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের ভুয়া দলিলটি (সাব-কবলা দলিল নং ২৫৩১) বাতিলের জন্য জমির প্রকৃত মালিক বুশরা ইসলাম আদালতে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় সৃজিত দলিলটির কথিত বৈধতা আনয়নে প্রতারক চক্রের হোতা সফিকুল ইসলাম ওরফে ইয়াবা শফি তার মা রাবিয়া বেগম ও নজরুল ইসলাম তার স্ত্রী তাছলিমার নামে একটি সাব-কবলা ( তাং ১৬/০২/২০০৯ইং ৩৪৩৬ নং) মাধ্যমে ১০ শতকের একটি দলিল সৃজন করে। এ ব্যপারে মোস্তফা মিয়া রূপগঞ্জ থানায় একাধিক জিডি করেছেন। অভিযুক্ত প্রতারণাকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, জমিটির আসল মালিক কে তারা জানেন না। প্রকৃত মালিক না জেনে এমনটা করেছেন বলে দাবী করেন। তবে তাদের সৃজিত বিমল চন্দ্রই ও রানী মন্ডলরাই আসল মালিক বলে দাবী করেন তারা। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতারক চক্র বিষয়ে জেনেছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে তড়িৎ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি কর্মকর্তা আলী আহমদ বলেন, কাজের ব্যস্ততায় আসল নকল দাতা চিহ্নিত করা যায় না। এসব দায়িত্ব দলিল লিখকদেরও । তবে এ বিষয়ে আরো সতর্ক হবেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।