Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইন ও সংবিধান পরিপন্থী কোন কাজ করতে দেব না- প্রধান বিচারপতি

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : অবসরের পর বিচারকদের রায় লেখাকে আবারও আইন ও সংবিধান পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মৌলভীবাজার আইনজীবি সমিতি আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একজন বিচারক যখন অবসর নেন তখন আপনি (সাধারণ নাগরিক) আর আমি (বিচারক) সমান হয়ে যাই। কিন্তু আইন রক্ষা করার সাংবিধানিক ক্ষমতা কারো নেই। সিভিল প্রশাসনের কেউ অবসরে যাওয়ার পর আর বাকি কোন কাজ করার সুযোগ থাকে না। তারাতো কোন শপথ নেন না। আর বিচারপতিরা আরো উপরে। আইন সংবিধান রক্ষা করার জন্য শপথ নেন। তাই রিটায়ার করার পর বিচারকের রায় লেখার কোন অধিকার নেই ? আমরা অনেক কিছু জানিনা। আমাদের সংশোধিত হতে হবে। এখানে গণতন্ত্র চলছে। সংবিধান সচল আছে। আমি প্রধান বিচারপতি থাকাবস্থায় আইন এবং সংবিধান পরিপন্থী কোন কাজ করতে দিব না।
গত মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া বাণীতে অবসরের পর রায় লেখাকে আইন ও সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তার এ বক্তব্যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনপেশা একটি মহান পেশা। কিন্তু এখন প্রত্যেকটি বার পলিটিক্যাল প্লাটফরম হয়ে গেছে। এখন অনেকেই আমার এই বক্তব্যের সূত্র ধরে নানা ফন্দি ফিকির বের করছে। কোন কোন বিচারক বলছেন রিটায়ার্ডের পর আমাকে রায় লিখতে না দেয়া হলে আগের অনুরূপ লিখা রায়গুলো বাতিল করতে হবে। বিচারপতি এস কে সিনহা এসময় আরও বলেন, রিটায়ার্ডের পর কোন বিচারপতিকে পাবলিক ডকুমেন্টে হাত দিতে দেয়া হবে না। আমাদের এখানে একটি ভুল নীতি চলে আসছে। বিচারকরা রিটায়ার করার পর রায় লিখেন। পৃথিবীর কোনো দেশে এই নিয়ম নেই। আমাদের দেশ একটি আজব দেশ রিটায়ার্ডের পর বিচারক রায় লিখেন ব্যক্তিগত তার কি ইন্টারেস্টে ? মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে মৌলভীবাজার আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির এর সভাপতিত্বে এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মো: শফিকুল ইসলাম, নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক মোতাহির আলী, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কিউ এম নাসির উদ্দিন,পুলিশ সুপার মো: শাহজালাল, আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান,এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, এডভোকেট বিশ্বজিত ঘোষ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ