পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে গণফোরাম। যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সেনা মোতায়েন করতে হবে। সশস্ত্রবাহিনী ইসির নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। গতকাল বুধবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির সঙ্গে দলটির সংলাপে ২২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন। দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, মানি পাওয়া ও মাসল পাওয়ার দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এ দুই এমপি থেকে ভোটকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিতে হবে। দুই ঘণ্টা ব্যাপী মত বিনিময় শেষে কামাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে ও যে প্রশাসন থাকবে তাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আমরা কমিশনকে বলেছি- যেনো আইনের সঠিক প্রয়োগ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়। ভোটে দুই এমপি’ই সুষ্ঠু ভোটে অন্যতম বাধা। একটা মানি পাওয়ার ও অন্যটি মাসল পাওয়ার। এ দুই এমপি’র জন্য দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। গণতন্ত্র রক্ষায় দুই এমপি আমাদের গণতন্ত্রকে আঘাত দিয়েছে তা হাঁড়ে হাড়ে টের পেয়েছি ৪৬ বছর। দুই এমপি থেকে জনগণ তাদের ভোটাধিকার বাঁচাতে পারে, কীভাবে দুই এমপি থেকে বাঁচা যাবে তার জন্যে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কমিশন গণফোরামের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে ও প্রশংসা করেছে বলে জানান কামাল হোসেন।
তিনি জানান, প্রশাসনকে কীভাবে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করবে তা আলোচনা করেই নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতেও কথা হবে। প্রশাসনকে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে। ২২ দফা দাবির অন্যতম হচ্ছে- প্রবাসীদের ভোটাধিকার, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি, কালো টাকার খেলা বন্ধ, ঋণ খেলঅপিদের জামিনদারকে নির্বাচনে অযোগ্য, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ভোটে সেনা বাহিনী মোতায়েন চান কিনা জানতে চাইলে গণফোরাম পক্ষ থেকে বলা হয়, আইনী সংজ্ঞায় রাখতে বলেছি আমরা। তবে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সেনা মোতায়েন করতে হবে। সশস্ত্রবাহিনী ইসির নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।