Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাগড়াছড়িতে অবরোধকারীদের সাথে আ’লীগ

| প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১১সাংবাদিক লাঞ্ছিত
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : খাগড়াছড়িতে পৌর মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে মেয়র অনুসারীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন স্থানীয় একজন সংবাদকর্মী। এসময় তার ব্যবহৃত ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পিকেটাররা।
পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে গতকাল সকাল থেকে সড়ক অবরোধ চলছিলো। খাগড়াছড়ি জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নামে একটি সংগঠন এ অবরোধের ডাক দেয়। পৌর মেয়র রফিকুল আলম ঐ সংগঠনের সদস্য সচিব। সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে পৌর মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীরা শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকায় অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছিলো। পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে জনপ্রতিনিধিদের সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে আসার পথে শহরের চেঙ্গী স্কোয়ারে অবস্থায় নেয়া মেয়র অনুসারীরা গাড়ি বহর থামিয়ে দেয়। দু’পক্ষের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ভর্তি করা হয় এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন, বিনা উস্কানিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গাড়ির বহরে ব্যারিকেড দিয়ে হামলা চালিয়েছে পৌর মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীরা।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জনপ্রতিনিধিদের নাম ভাঙিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ‘জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের প্রতিবাদে এবং ঐ কমিটি বিলুপ্ত ও অবরোধসহ গৃহীত সকল কর্মসূচী প্রত্যাহারের দাবীতে দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ২৯ জন চেয়ারম্যান, মেয়র ও ভাইস-চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ¤্রাগ্য মারমা। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, পুরো জেলায় উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র ও ভাইস-চেয়ারম্যান মিলিয়ে সর্বমোট ৫০ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন। অথচ কেবল ২-৩ জন জনপ্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ‘জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন বলে প্রচার করা হচ্ছে এবং ঐ সংগঠনের ব্যানারে হরতাল-অবরোধ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গসহ রাষ্ট্রবিরোধী নানা কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। যা নির্বাচিত অন্য সকল জনপ্রতিনিধিদের জন্য বিব্রতকর এবং জনগণের জন্য বিভ্রান্তিমূলক। জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির গৃহীত সকল পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে অচিরেই সংগঠনটি বিলুপ্তির দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মাটিরাঙা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শামসুল হক অভিযোগ করে বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের গাড়ি বহর থামিয়ে পৌর মেয়র রফিকুল আলম নিজেই হামলা চালিয়েছে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তিনদিনের পূর্ব ঘোষিত সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ