বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরায় ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরায় ঘুষ না দেওয়ায় মাদ্রাসা সুপারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সদর থানার দুই উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১ এ নিহতের ভাই বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই পাইক দেলোয়ার, এএসআই শেখ সুমন হাসান, এএসআই আশরাফুজ্জামান ও অজ্ঞাতনামা দুইজন কনস্টেবল। নিহত মাওলানা সাইদুর রহমান কলারোয়া উপজেলার বাকশা হঠাৎগঞ্জ মাদ্রসার সুপার ও সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত দেলদার রহমানের ছেলে।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়িতে গেলে সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই পাইক দেলোয়ার, এএসআই সুমন, এএসআই আশরাফুজ্জামানসহ দুই কনস্টেবল তাদের বাড়িতে গিয়ে মাওলানা সাইদুর রহমানের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। অন্যথায় তাকে জামায়াতের মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দিয়ে বেদম মারধর করে তারা। এ সময় বাড়ির উঠানে ফেলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়। বুকের উপর উঠে দাড়ায় পুলিশ সদস্যরা।
পরে ৫ হাজার টাকা দিতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে তাকে ধরে নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে তাকে থানার গারদ খানায় ফেলে ফের মারপিট করা হয়। থানা থেকে তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করতে চাইলে কোর্ট হাজত কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রহণ না করে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসতে বলে।
এক পর্যায়ে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত একটার দিকে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানোর পর শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। এ প্রসঙ্গে সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।