রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আশুলিয়া থেকে রাউফুর রহমান পরাগ : আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় বন বিভাগের সরকারি জমি বিক্রয় ও ভাড়া দেয়াসহ প্রকৃত জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে খোদ বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিকগণ বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন ও আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। কিন্তু বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করে নিজস্ব বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন।
জানা যায়, আশুলিয়ার বাইদগাঁও গ্রামের মো. আব্বাস আলী দেওয়ানের ছেলে মো. মোফাজ্জল হোসেন বন বিভাগের কর্মকর্তাদের এসব অপকর্মের কথা উল্লেখ করে একটি রিট পিটিশন (নাম্বার ৩৩০১/২০০৫) দায়ের করেন। কিন্তু বন বিভাগের কর্মকর্তারা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বনের জমি ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে বিক্রির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি ও কৃষি জমিকে বন বিভাগের জমি দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
সম্প্রতি বন কর্মকর্তারে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রিট পিটিশনের কপি সংযুক্ত করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর হয়রানি থেকে মুক্তির জন্য একটি লিখিত আবেদন করেছেন মোফাজ্জল হোসেন। লিখিত ওই আবেদন থেকে জানা যায়, গাজীপুর জেলার চন্দ্র রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা এ বি এম আজহারুল ইসলাম ও বাড়ইপাড়া বিট অফিসের বিট কর্মকর্তা এম এ জলিল আশুলিয়ার কবিরপুর ও গোহাইলবাড়ি মৌজার বন বিভাগের জমি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
ফলে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে সাধারণ মানুষ। এসব জমি থেকে আবার মাসিক ভাড়াও আদায় করে থাকেন ওই কর্মকর্তারা।
সরেজমিন বাড়ইপাড়া বিট কার্যালয়ের বিট কর্মকর্তা এম এ জলিলের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফুঁসে উঠেন। লোকজন দিয়ে বন বিভাগের জমি থেকে মাসোহারা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাই তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করে এ প্রতিবেদকের উপর তেড়ে আসেন।
এ সময় আশপাশ থেকে তার বাহিনীর সদস্যরা ছুটে এলেও পরবর্তীতে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তারা শান্ত হন। এ ব্যাপারে চন্দ্রা রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বন বিভাগের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান এই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।