Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের উপর চাপ এবং বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে

| প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন -স্বাস্থ্য মন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান গণহত্যা বন্ধের লক্ষ্যে সেদেশের সরকারের উপর বিশ^জনমত সৃষ্টিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যান সিওং দো সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই আহŸান জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবতার স্বার্থে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সাহায্য দিচ্ছে। কিন্তু সীমিত সম্পদের দেশে এই লাখ লাখ শরণার্থীকে অব্যাহতভাবে সাহায্য যোগান দেওয়া কঠিন। পূর্বের শরণার্থীর সাথে আরো প্রায় পাঁচ লাখ নতুন রোহিঙ্গা যোগ হয়েছে যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। এদের মধ্যে কয়েক হাজার সন্তানসম্ভবা নারীও আছে। তাঁদের খাদ্য, আশ্রয় কেন্দ্র যোগানসহ চিকিৎসা সহায়তা দিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে সেখানে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০ থেকে১০০তে উন্নীত করা হচ্ছে দ্রæততম সময়ের মধ্যে। ঐ অঞ্চলের ৩০টি কমিউনিটি ক্লিনিকেরও সংস্কার করা হচ্ছে শরণার্থীদের চাপ সামলাতে। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনা বাহিনী রোহিঙ্গা বিতাড়িত করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। এজন্য বিশ^ নেতৃবৃন্দকে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর তাগিদ দেন মোহাম্মদ নাসিম। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসময় বলেন, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গা বিতারণের নামে ধর্মবর্ণ নির্বেশেষে সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে যেভাবে নির্বিচারে মারছে তা মোটেও কাম্য নয়। তারা তাদের নিজেদের জনগণকেই মারছে যার মধ্যে মুসলিম, বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীও আছে। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশকে শরণার্থীর চাপ বহন করতে হচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে সেদেশের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে কোরিয়ার সহায়তা সংস্থা কোইকার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা কামনা করেন। এ সময় তিনি জানান, কোইকার অর্থায়নে ১৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে রাজধানীর মুগদায় অ্যাডভান্সড নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে যা তাদের সর্ববৃহৎ প্রকল্প। শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে এই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের শুভ সূচনা করবেন। এছাড়া সাভারে নির্মিত হয়েছে বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল’। রাজধানীতে বিএসএমএমইউ’র সাথে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালও নির্মাণ করছে কোইকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কোরিয়ার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আগামীতে আরো সহায়তা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহŸান জানান।
রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ চালুর সুপারিশ প্রদানে কমিটি গঠন
রাজধানীর কমলাপুরে রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার উপযোগী করতে করণীয় নির্ধারনে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) হাবিরুর রহমানকে প্রধান করে এই কমিটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চারজন এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের তিনজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আলোচনা করে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করার জন্য মন্ত্রী কমিটিকে নির্দেশ দেন। গতকাল সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
সভায় অন্যান্যের মাঝে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেনসহ স্বাস্থ্য ও রেল মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ