বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই চালের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, চালের দাম সীমা অতিক্রম করে এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, সাধারণ মানুষের আর চাল কিনে খাওয়ার অবস্থা নেই। গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে। হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেই মিয়ানমারে খাদ্যমন্ত্রী গেলেন চাল কিনতে। যদি বাধ্য হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে তো তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার কথা না। সস্ত্রীক তাঁর এই আনন্দভ্রমণ এই সময়ে হওয়া কোনোমতেই উচিত হয়নি।
মিয়ানমার থেকে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সরকার ত্রাণ দিচ্ছেনা অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনই রোহিঙ্গাদের সাহায্য দিচ্ছে কিন্তু সরকারসহ ১৪ দলের কাউকে সেখানে ত্রাণ দিতে দেখা যায় নাই। তাদের মুখে শুধু বড় বড় কথা। ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) প্রতিদিনই গলাবাজি করছেন। চিবিয়ে চিবিয়ে মিথ্যা কথা বলেন । তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমরা ২২ ট্রাক এাণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের দিতে গিয়েছিলাম, আমাদেরকে সেই ত্রাণ দিতে দেয়া হয় নাই। আপনারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখছেন কী কষ্টে রোহিঙ্গারা দিন পার করছে। যেখানে সারা দেশের মানুষকে যখন পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহŸান জানানোর দরকার কিন্তু তা না করে বিএনপিকে ২২ ট্রাক ত্রাণ দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। শুধু বিএনপিকে বাধা দেয়া হয় নাই, প্রাপ্ত থেকে রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এর জবাব কে দিবে? এর জবাব বাংলাদেশের জনগণই দিবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি যখন ত্রাণ দেন। সরকারি ভাÐারের চাবি আপনাদের হাতে। আপনারা সেখানে পুলিশ পাহারায় ত্রাণ দেন কিন্তু আমরা কোনো সহযোগিতা চাই নাই, তারপরেও আপনারা আমাদেরকে ত্রাণ দিতে দেন নাই। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম আপনারা আমাদের সাথেই এই ত্রাণ বিতরণ করেন কিন্তু তারা রাজি না হয়ে আমাদেরকে বলে আপনারা ২-৩ বস্তা বিতরণ করে ছবি তুলে চলে যান আর বাদ বাকি আমাদের গুদামে জমা দেন। তাহলে ভাবেন একবার দেশের কি অবস্থা?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে দূর্গা পুজার প্রস্তুতি সভায় হামলা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের প্রতিপক্ষ শুধু বিএনপি নয়। সাধারণ মানুষকেও রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি বলেন, এই জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম বাংলাদেশের জন্য, যেখানে সকল ধর্মের মানুষের ধর্ম পালনের অধিকার থাকবে। কিন্তু এই অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা পাপ আর কারও ধর্মীয় অধিকার হরণ করা মহাপাপ। এই সরকার সেই মহাপাপে পাপী। কেউ এই সরকারের আমলে রাজনীতি করতে পারবে না, ধর্মও পালন করতে পারবে না। এসব করতে হলে তাকে আওয়ামী লীগ করতে হবে, এই পরিস্থিতি আসবে বলে মুক্তিযুদ্ধ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।