Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাতৃসদন ক্লিনিক সিলগালা

| প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
বামনা (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : বরগুনার বামনায় রোববার রাতে সিজারিয়ান অপারেশন করায় এক প্রসুতি মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার কলেজ রোডস্থ বামনা মাতৃসদন ক্লিনিকটি সিলগালা করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বাচ্চু। নিহত ওই প্রসুতির নাম মোসাঃ মাকসুদা বেগম (৩০)। তিনি উপজেলার নিজআমতলী গ্রামের মহারাজ পঞ্চায়েতের স্ত্রী। এদিকে গতকাল সোমবার সকালে নিহত প্রসুতির লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে বামনা থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত রোববার সকাল ৯টায় সন্তান প্রসব করানোর জন্য প্রসুতি মাকসুদার পরিবার তাকে বামনা মাতৃসদন ক্লিনিকে ভর্তি করায়। সন্ধ্যায় তাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, এই ক্লিনিকে রোববার কোন এনেস্থিসিয়া সার্জন ছিলো না। ক্লিনিকের ম্যানেজার মোঃ আজাদ মাহমুদ আকাশ রোগীকে এনেস্থিসিয়া করে। এতে ওই প্রসুতি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে। এক পার্যায়ে সে মারা যায়। রোগী মারা যাওয়ার পরে ডাঃ মো. নুর নবী নামে একজন ভুয়া চিকিৎসক ওই প্রসুতির পেট সিজার করে অথচ পেটের ভিতরে থাকা নবজাতককে বাইরে বের না করে পুনরায় কাটা অংশ সেলাই করে দ্রæত পালিয়ে যায়। আরো জানা গেছে, ওই প্রসুতির ক্লিনিকে মৃত্যু হওয়ার পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কৌশলে গুরুতর অসুস্থ্যের নাটক সাজিয়ে তাকে বরিশালে পাঠানোর চেষ্টা চালায়। নিহত প্রসুতির পরিবার ও স্থানীয় লোকেরা বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে নিশ্চিত করেন। বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ হাসান জামান প্রসুতিকে পেট কাটা ও রক্তজরা সেলাইরত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বামনা মাতৃসদন ক্লিনিকের ম্যানেজার আজাদ মাহমুদ আকাশের নাম্বারে ও ভুয়া চিকিৎসক ডাঃ নুরুন নবীরনাম্বারে ফোন করলে তারা ফোন রিসিভ করেনি। তাদের বাড়ী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায়।
এব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বাচ্চু বলেন আমি তাৎক্ষনিক বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে লাশটি পরিদর্শন করি এবং অভিযুক্ত ওই ক্লিনিকটির বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ