রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহাল দশা
দেশের ‘ক’ শ্রেনীর পৌরসভার মধ্যে অন্যতম চাঁদপুর পৌরসভা। এ পৌরসভার অতীত সুনামও রয়েছে। বসবাসকারি অনেকেই উন্নত জীবন যাপন করেন। সভা-সমাবেশে বক্তব্যেও উন্নত জীবন যাপনের কথা শ্রোতাদের শুনান। কিন্তু শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নিউ ট্রাক রোডের রেলক্রসিং থেকে শুরু হয়ে আইডাবিøউটিএ’র মোড় পর্যন্ত ২ কি. মি. সড়ক এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোন যানবাহন কিংবা পথচারি রেল ক্রসিং পার হয়ে বটতলা আসলে সামনে এগুতে চায় না। সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।
এলাকবাসির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিউ ট্রাকরোড এমনিতে বেহাল দশা। তারপরে বটতলা এলাকায় ময়লা আবজর্নার স্তুপ আর দুর্গন্ধে এখন মানুষ সুস্থ্যভাবে হেটে যেতে পারে না। এলাকার বাসিন্দাদের বাধ্য হয়েই চলাফেরা করতে হয়। কোন মানুষ প্রয়োজনে একবার এসে দ্বিতীয়বার আসতে চায় না। রিকশা চালক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোবাইক চালকদের যদি বলা হয় ট্রাক রোডে যাবেন, অনেকেই তাৎক্ষনিক না বলেন। এছাড়াও প্রতিদিন এই এলাকার শিশু-কিশোর স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী অতি কষ্ট করে যাতায়াত করেন। তারপরে রয়েছে ভারি যানবাহন। ট্রাক রোড হওয়ার কারণে শহরের ট্রাক ঘাটে এ সড়কেই মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। রাস্তার এ করুণ দশার কারণে প্রায়ই চাকা আটকিয়ে সড়ক যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়। যা এখন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ট্রাক রোডের স্থানীয় বাসিন্দা আবু বকর জানান, ভাই বর্জ্য ব্যবস্থপনা নিয়ে একটু লিখেন। বাসা বাড়িতে যারা বর্জ্য নিতেন তারাও এখন বাসায় আসেন না। স্থানীয় কাউন্সিলরদের জরুরি সামাজিক প্রয়োজনে কিংবা এলাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে খোঁজে পাওয়া কঠিন কাজ। অথচ নির্বাচন আসলে ভোট পাওয়ার জন্য আকুতি মিনতির শেষ নাই। আর কাজের সময় তাদেরকে পাওয়া যায় না। মানুষের এই চরম দুর্দশা কমবে কবে? ট্রাক রোডের আরেক বাসিন্দা হাবিব মিয়া জানান, এ সড়কে প্রায়ই ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। পায়ে হাটাও মুশকিল। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হবে না।
সম্প্রতি ট্রাকরোড সংস্কার নিয়ে কথা হয় কাউন্সিলর ডি এম শাহজাহানের সাথে, তিনি জানান খুব শীঘ্রই ট্রাক রোড সংস্কার করবেন বলে মেয়র মহোদয় বলেছেন। কিন্তু তার এ জবাবের কয়েক মাস চলে গেলেও এখন পর্যন্ত সড়কটির কোন ধরনের সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, তারা পৌরসভার করসহ সকল পাওনা পরিশোধ করছেন। তালে তাদের সাথে এমন আচরণ কেন? তারা পৌর মেয়রের কাছে বর্জ্য ব্যবস্থপনা ও ট্রাক রোড সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।