Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উলিপুরে ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : উলিপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের দেয়া লক্ষ-লক্ষ টাকা প্রতারণা করে আতœসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একটি সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে। ত্রাণের টাকা আতœসাৎ করার পর থেকে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কর্মকর্তা ও যুবলীগ সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আতœগোপন করেছেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর। সম্প্রতি ২য় দফা বন্যায় উলিপুরের ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ২লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তাদির চৌধুরী উলিপুর উপজেলায় ভিটেমাটি হারা ১০টি পরিবারকে দুই ক্যাটাগরিতে প্রায় ৫লাখ টাকা বিতরণ করেন বলে বিশ^স্ত সূত্রে জানাযায়। গত শনিবার ঘর-বাড়ি মেরামতসহ মাসের খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণা বিমুখ ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুঃস্থ পরিবার গুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে দেন রংপুর অফিসে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কুমার পাড়ার সৈয়দ আলীর স্ত্রী কাঞ্চনমালা (৩৮), ধনারবি দাসের স্ত্রী মালতি রবিদাস(৪০), নেছাব উদ্দিনের স্ত্রী আজিরন বেগম (৫২), মহিলা বেগম (৪৫), কদমতলা গ্রামের ভগলু হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন (৪৮), মৃত: রাজেনের স্ত্রী স্বরবালা (৪৫), আবির উদ্দিনের স্ত্রী ছবিরন নেছা (৫০), অনন্তুপুর ঘাটে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত কফুল্লা আলী (৭০), অন্যের জমিতে আশ্রিত পালপাড়ার মৃত: মোহনের স্ত্রী ভিক্ষুক ছবিতারাণী দাস (৫২), তাঁতীপাড়ার মৃত: কানুর স্ত্রী বৃন্দেশ^রীসহ ১০জন দরিদ্র পরিবারের সদস্য।
প্রতারণার স্বীকার বৃদ্ধ কফুল্লা আলী জানান, এবারের স্মারন কালের বন্যায় চরের মধ্যে হামার বাড়ি-ঘর সউগ ভাসি গেছে। ঘাটের কাছে মানষের ছাপড়া ঘরে কোন রকমের আছং। শনিবার সকালে হাতিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি সাহেব আলী মোক ডাকে নিয়া কয় চল বাহে চাচা রংপুর যামো। অটে গেলে এক অফিসার তোমাক টাকা দিবে।
কুড়িগ্রামের দায়িত্বে থাকা এরিয়া ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম ঘটনাটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে জানান, অফিস থেকে তালিকা করে তারা টাকা দিয়েছে। আমি পিছনে ছিলাম। হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। প্রচরণা বিমুখ দাতা সংস্থা বা ব্যক্তিগণ অত্যন্ত দান করার আগে প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি মাধ্যমে বন্টন করার পরামর্শ দেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ