Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি স্বীকৃতি পেল গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

মানুষ গড়ার কারখানা

| প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে মোহাঃ ইনামুল হক মাজেদী : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি স্বীকৃতি পেল। গত ২৯ আগস্ট জাতীয়করণ করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টি। গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত ১৯৪৯ সালে। গঙ্গাচড়ার তৎকালীন সময়ে এটিই ছিল স্বনাম ধন্য বিদ্যালয়। যেখানে দূর-দুরন্ত থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসতো। গৌরবান্বিত বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই শিক্ষার মান ধরে রেখেছে। অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যের ধারা বহমান রয়েছে গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রায় ৬৮ বছর নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে উপজেলার সবচেয়ে পুরানো এ বিদ্যালয়টি। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমানে গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনার করছেন ১ হাজার ১শ ৫০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকের সংখ্যা ২৭ জন ও কর্মচারীর সংখ্যা ৭ জন। ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর জন্য রয়েছে একটি সমৃদ্ধশালী পাঠাগার। যাতে রয়েছে ২ হাজার বিভিন্ন নামীদামী লেখকের বই। এখানে পাঠ্য জ্ঞানের বাইরেও বিভিন্ন শিক্ষনীয় বই পড়ে ছাত্রছাত্রীরা মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে। গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি সম্পুর্ন নিরাপত্তা বেস্টনী দ্বারা ঘেরা। ৮৮ শতক নিজস্ব জমির উপর নির্মিত প্রতিষ্ঠানটির মোট একাডেমিক ভবন রয়েছে ৬টি যার মধ্যে ১তলা ৪টি, দ্বিতল ১টি ও তিনতলা ১টি। কারিগরি শাখার জন্য একটি ১ তলা পাকা ভবন রয়েছে। রয়েছে শোভা বর্ধক বৃক্ষরাজি এবং ২টি প্রবেশ দ্বার। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনার মধ্যে আছে বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, হলরূম, সহকারি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের জন্য আলাদা কক্ষ, শিক্ষা মিলনায়তন, রয়েছে স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশনের ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা।
গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখের মিঞা জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী সকল নিয়ম নীতি ও শর্ত পূরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি বলে ৬৮ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বৃদ্ধিসহ সরকারি নিয়ম নীতি মেনে সুনাম অক্ষুন্ন রাখা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ