Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০৪ পিএম

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর মাঝে এই সংকট নিয়ে সহায়তা চাইতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা। খবরে বলা হয়, ২৫শে আগস্ট থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর শুরু হওয়া নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে দলে দলে পালিয়ে আসছেন রোহিঙ্গারা। তাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজারে। একদিনের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়েছে ১৮ হাজার। এই বিশাল সংখ্যার রোহিঙ্গাদের প্রয়োজন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ ও ত্রাণকর্মীরা। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়াচ্ছে। অস্থায়ী শিবিরগুলোর আগেই ভর্তি হয়ে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, শুক্রবার একটি বেসরকারি সংস্থা কাপড় বিতরণের সময় মানুষের ছোটাছুটিতে দুই শিশু ও এক নারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন সময় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতে ও মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে নিউ ইয়র্ক শহর সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র নজরুল ইসলাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাৎক্ষণিকভাবে এ নির্যাতন বন্ধ করার আবেদন জানাবেন। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবকে রাখাইনে একটি তথ্য-অনুসন্ধানী দল পাঠাতে বলবেন। তিনি আরও বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক কমিউনিটি ও জাতিসংঘের কাছে রোহিঙ্গাদের ওপর এ নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহবান জানাবেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের মুখপাত্র ক্রিস লম বলেন, দেশটিতে কর্মরত ত্রাণ সংস্থাগুলো শরণার্থীদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এত বেশি মানুষ আসবে এমনটি কেউ প্রত্যাশা করেনি। যদি এক লাখ মানুষ আসতো তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেতো। কিন্তু যতদিনে তারা আসা বন্ধ করবে ততদিনে ৫ লাখ বা তার বেশি মানুষ চলে আসতে পারে। এটা বিশাল।’ লম বলেন, ‘ত্রাণ সংস্থাগুলো যত দ্রুত সম্ভব কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র চার ভাগের এক ভাগ শরণার্থীকে সহায়তা প্রদান করতে পেরেছে।’
জাতিগত নিধনযজ্ঞ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলি বলেন, আমরা মিয়ানমার সরকারের ওপর এই জাতিগত নিধনযজ্ঞ বন্ধ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি করা অব্যাহত রাখবো। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মিয়ানমার তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। মন্ত্রণালয় হুশিয়ারি দিয়েছে, ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই তিন আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনার ফলাফল অবাঞ্ছিত হতে পারে। মিয়ানমার তাৎক্ষনিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি। বাংলাদেশ সরকার এর আগে তাদের সীমান্তের কাছে স্থলবোমা পাতা ও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে মিয়ানমার দূতাবাসে প্রতিবাদ জানিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ