পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, নতুন ২৩ টি জেলায় একটি করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন হবে।
এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় হবে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। এছাড়া ঢেলে সাজানো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম-সিলেবাস, নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসায় কারিগরি শাখা সংযোজন করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল (শনিবার) আইডিইবি মিলনায়তনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত চীন সরকারের স্কলারশীপপ্রাপ্ত কারিগরি ক্ষেত্রের ৩৪৯ জন শিক্ষার্থীর যাত্রাপূর্ব অরিয়েন্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিদক্ষ নতুন প্রজন্ম হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মূল কারিগর। প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই কোন না কোন পেশাগত দক্ষতা শেখানো। এলক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের দক্ষতায় গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য ।
মন্ত্রী বলেন, চীন, জাপান, জার্মান অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, সিংগাপুরসহ প্রতিটি উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের কারিগরি শিক্ষার্থীর এনরোলমেন্ট হার ৬০ শতাংশের অধিক। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষা অত্যন্ত পিছিয়ে ছিল। ২০০৯’এর পূর্বে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ছিল ১ শতাংশের নিচে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে তা ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকার আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০ শতাংশে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এজন্য নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্কলারশীপ প্রদান করে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এধারা আরো স¤প্রসারিত করা হবে। এই শিক্ষার্থীরা এক একজন দক্ষ জনবল হিসেবে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই উদ্যোগ কারিগরি শিক্ষা খাতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ৪২০ জন এবং পরে আরো এক হাজার ১৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে । চীনের গুয়াংজুতে ৫৮১ জন শিক্ষকের পর্যায়ক্রমিক প্রশিক্ষণ চলছে । এ ধারা অব্যাহত থাকবে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাসচিব মো: আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: মোস্তাফিজুর রহমান, আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।