পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এখন শরৎকাল আকাশ জুড়ে সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্ত জুড়ে যেন সাদা কাশফুলের মেলা বসেছে এমনটি মনে হবে নাটোরের লালপুর উপজেলার শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়ামে গেলে। দীর্ঘদিন যাবত কোন প্রকার খেলাধুলা না হওয়ায় স্টেডিয়ামটির প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে পুরো মাঠ জুড়ে শরতের সাদা কাশফুলে ছেয়ে আছে। স্টেডিয়ামের মূল গেটে তালা ঝুলছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অযত্মে অবহেলায় আর বৃষ্টিতে ভিজে স্টেডিয়ামের মূল গেটে ঝুলানো তালাতেও মরিচা ধরেছে। সরেজমিনে মাঠের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় মাঠের এ প্রান্ত থেকে গ্যালারী পর্যন্ত পুরো মাঠ জুড়ে প্রায় ৭ ফুট উচু ঘন কাশবনের সাদা ফুলে যেন এক খন্ড সাদা মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এই কাশবন আড়াল করে দিয়েছে স্টেডিয়ামের মূল নাম ফলকটিও। স্টেডিয়ামের নাইটগার্ড শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই স্টেডিয়ামে কেউ আসেনা যার কারনে কোন প্রকার খেলাধুলাও এখানে হয়না। আমার চাকুরী স্থায়ী হয়েছে কিনা আমি তাও জানিনা আর কোন বেতন ভাতাও পাই না তবে এখানে জন্মানো কাশবনের খড় বিক্রয় করে প্রতিবছর প্রায় হাজার দু’য়েক টাকা পাই। স্থানীয় রুবেল, সাগর, আলামিনসহ আরো অনেকে বলছে, স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত না থাকার কারনে এখানে কাশফুলের জন্ম নিয়েছে।স্টেডিয়াম উন্মুক্ত থাকলে নিয়মিত খেলাধুলা ব্যবস্থা করাহলে কাশফুল হতো না। এদিকে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা বলছেন, ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্টেডিয়ামটি তৎকালীন বিএনপি সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব ফজলুর রহমান পটল ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন । উদ্বোধনের ২-১ বছর মাঠটিতে খেলাধুলা হলেও পরবর্তিতে মাঠটি আনন্দ মেলার নামে মাসব্যাপি যাত্রা ও সার্কাস খেলার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। তারপরে ২০১২ সালে সর্বশেষ শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল কাপ টুর্নামেন্ট খেলা হয়। এর পরে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে স্টেডিয়ামটির নাম ফলক পরিবর্তন করে শহীদ মমতাজ উদ্দিন করা হয় তার নামফলক উম্মোচন করেন তখনকার আওয়ামীলীগ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। এর পরে সব সময়ই তালা ঝুলে স্টেডিয়ামের গেটে। এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় কোন অনুদান আসেনি এবং ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব কোন তহবিল না থাকায় মাঠটি সংস্কার করা যাচ্ছেনা। তবে স্টেডিয়ামটি সংস্কারের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রানলয়ের নিকট আবেদন করা হয়েছে অনুদান পেলে মাঠটি সংস্কার করে পুনরায় যুগপোযোগি খেলাধুলা ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটির মেয়াদ শেষের দিকে নতুন কমিটি হলে মাঠের নাইট গার্ড সহ ব্যবস্থাপনা কমিটি কার্যকর করা হবে এবং বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়ামগুলি সংস্কার করে তাতে জাতীয় অনুষ্ঠান, ফুটবল, ক্রিকেটসহ প্রতিটি খেলা পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থায় যে অনুদান আসে তা অসহায় ও অসুস্থ ক্রীড়াবিদদের দেওয়ার জন্য আসে।
এ বিষয়ে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রিমন ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, স্টেডিয়াম টি খেলাধুলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে উক্ত সংস্থার তহবিলে কোন টাকা না থাকায় এই মূহুর্তে মাঠটি সংস্কার করা যাচ্ছেনা বলে মাঠে কোন প্রকার খেলাধুলা পরিচালনা করা যাচ্ছেন না ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।