Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চালের দাম বৃদ্ধি : কয়রার স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে অস্থিরতা

| প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কয়রা (খুলনা) সংবাদদাতা ঃ চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রার স্বল্প আয়ের লোকজন চরম বিপাকে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবত কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা দাম বৃদ্ধিতে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কয়রা সদর, ঘুগরাকাটি, ঝিলিয়াঘাটা, আমাদি এলাকার বেশ কয়েকটি চালের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোটা চাল থেকে শুরু করে মিনিকেট, কালোজিরা ও নাজিরশাইল সহ অন্যান্য চালের দাম গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশী। বর্তমানে মোটা চাল ৪০ টাকা, বিআর ২৮ চাল ৪২ টাকা, আমন আতপ ৪৫ টাকা, মিনিকেট ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহ আগের তুলনায় কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশী। ২নং কয়রা গ্রামের ভ্যানচালক আবুল খায়ের জানায়, ৬ জনের সংসারে দৈনিক ৩ কেজি চাল প্রয়োজন। ভ্যান চালিয়ে যে রোজগার হয় তা দিয়ে চাল, ডাল ও তরিতরকারি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংসারের খরচ বহন করে ছেলে মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়ার খরচ যোগান দেয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫নং কয়রা গ্রামের সালাম সরদার জানায়, ১০ দিন আগে ২৮ ধানের চাল ২ হাজার টাকায় এক বস্তা কিনেছি তার দাম এখন ২ হাজার ১শ টাকা। গরীবের সংসারে এত বেশী দামে চাল কিনে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। ঘুগরাকাটি বাজারের ধান চাল ব্যবসায়ি মেসার্স ভাই ভাই অটো রাইস মিলের মালিক শফিকুল্ ইসলাম বলেন, এলাকায় বর্তমানে ধান না থাকায় গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়িসহ অন্যান্য জেলা থেকে ধান কিনে মিলিং করে চাল বিক্রি করায় খরচ একটু বেশি পড়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অঃদাঃ) মোঃ বজলুর রহমান বলেন, সারাদেশে চালের দাম একটু বেশী ,সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মংলা বন্দরে ইতমধ্যে বিপুল পরিমান চাল খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী মাসে খোলা বাজারে চাল বিক্রি কর্মসূচী চালু হলে দাম কমবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ