Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঝাড়– তৈরি ও ফেরি করে জীবিকা চালান বৃদ্ধ খলিল

| প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সদর ইউনিয়নের সুরিয়াব এলাকার বৃদ্ধ খলিল (৬২)’র ঝাঁড়– তৈরী ও ফেরী করে বিক্রির দৃশ্য স্থানীয়দের কাঁদায়। বৃদ্ধ বয়সেও বোঝা মাথায় নিজেই ঝাড়– তৈরী করে গ্রামের মেটোপথ বেয়ে এ বাড়ি ও বাড়ি ফেরী করে বিক্রি করে জীবন জীবিকার হাল ধরে আছেন দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ। তবু সংসারের অভাব অনটন পিছু ছাড়ছে না। নিজের একশতক এক খন্ড জমির উপর দুচালা টিনের ঘর ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই।
ষাটোর্ধ বৃদ্ধ খলিল জানান, এক সময় আইসক্রিম বিক্রি করে চালাতেন সংসার। সে সময়ে তার ছেলেকে দিনমজুরের কাজ করে সংসারে সহযোগীতা করতো। পরে তাকে বিয়ে করিয়ে দেয়ার পর ঢাকার কোন এক স্থানে জীবিকার তাগিদে চলে যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার সংসারই চলেনা। তাই আমাকে এখনো এ কাজ করতে হয়। আমার শরীরে বয়সে নানা রোগ বালাই বাসা বেঁধেছে। শ্বাসকষ্ট ও শরীরের বাত ব্যাথায় আক্রান্ত তিনি। এছাড়াও তার স্ত্রী হাজেরাও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। এতে তার প্রতিদিন শতাধিক টাকার ঔষুধ খেতে হয়। এছাড়া বাড়ির খাবার দাবার এ ঝাড়– বিক্রির টাকা থেকেই জোগার করতে হয়। এ সময় তিনি আরো জানান, তার বয়স ৬২ হলেও একাধিকবার স্থানীয় মেম্বারের নিকট গিয়েও পাননি বয়স্কভাতা। তাকে পরে দেখা করার কথা বলে হয়রানী করে যাচ্ছে ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান লিটন
বৃদ্ধ খলিল মিয়া আরো জানান, ঝাড়– তৈরী কুটির শিল্পের আঁওতায় হলেও তার প্রয়োজনীয় জমি জমা না থাকায় সরকারী বা বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ দেয়নি কোন পক্ষ। তাই আতœীয় স্বজন থেকে ঋণ নিয়েই ঝাড়– তৈরীর কাজ করছেন। এসব তৈরীকৃত ঝাড়–র দাম সাধারনত পাইকারদের কাছে বিক্রি করলে তেমন লাভ হয় না। তাই ফেরী করে ঝাড়– প্রতি ৪০ থেকে ৮০টাকায় বিক্রি করছেন। এতে তার ঝাড়– প্রতি আয় হচ্ছে ১৫ থেকে ২০টাকা। মাঝে মধ্যে ফেরী করা ঝাড়– বিক্রি করতে না পারলে কম লাভেই স্থানীয় মুদি দোকানে বিক্রি করে দেন। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মজিবুরব রহমান লিটন মেম্বার বলেন, তার কাছে বয়স্ক ভাতার দাবী করেছিল খলিল মিয়া কিন্তু উপজেলা থেকে নতুন বরাদ্ধ না থাকায় পরে দেখা করতে বলেছি। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুঁইয়া রানু বলেন, সুরিয়াব বৃদ্ধ খলিল নতুন করে আবেদন করলে তাকে ও তার স্ত্রীকে বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ