পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালি ভিটি-শিলমন্দির এলাকার বারেক ল্যাংটার মাজারে দুই নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে মাজারের খাদেম আমেনা বেগম (৬৩) এবং ভক্ত তাইজুনের(৪৬) লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গজারিয়ার গাওছিয়া এলাকার বাসিন্দা ,আমেনার ছেলে মোঃ জাবেদ জানান, বাবা খালেক মিঝি মারা যাওয়ার পর থেকেই দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তার মা মাজারে খাদেম হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। তার জানা মতে মার সাথে কারো বিরোধ ছিল না।তাই এ ঘটনার কারণ খুজে তিনি পাচ্ছেন না। সদর উপজেলার বকচর গ্রামে অপর নিহত ভক্ত তাইজুনের ছেলে কফিল উদ্দিন জানান, তাদের মা দুই ছেলের সাথে ঢাকার শ্যামপুর এলাকায় থাকতেন। মনের শান্তি পাওয়ার আশায় প্রায়ই মাজারে আসতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মাজারে এসে হত্যাকান্ডের শিকার হন।
মাজার সংলগ্ন এলাকার লোকজন জানান, মাজারকে কেন্দ্র করে রীতিমত মাদকের আড্ডা বসতো। আড্ডায় উঠতি বয়সের লোকজনদের সংখ্যাই বেশি ছিল। এছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে গান বাজনার আসর বসতো। এতে মাজারকে ঘিরে স্থানীয়রা অস্বস্তিতে ছিলেন। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন,মাজারের খাদেম মাসুদ সকালে এসে গলা কাটা লাশ দেখে খবর দিলে ,লাশ দুটি উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জমি-জামা, মাজারের টাকা উত্তোলন এবং মাজারের নিয়ন্ত্রন নিয়ে বিরোধ সম্ভাবনাকে কারণ হিসেবে ধরে তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য খাদেম মাসুদকে আটক করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষনের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।