মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পথে নাফ নদে ফের নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার সকালে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ থেকে চার শিশু ও নাজিরপাড়া থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শাহপরী দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুল হক জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পথে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। আজ বুধবার সকালে চার শিশু ও দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আরেফা বেগম জানান, মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় ২৫ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পথে মঙ্গলবার রাতে নাফ নদে নৌকা ডুবে যায়। এতে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে।
বেঁচে যাওয়া আরেক নারী ইয়াসমিন জানান, নৌকাডুবিতে তার দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে। অন্যজন নিখোঁজ রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান জানান, বুধবার সকালে নাফ নদ থেকে চার শিশুসহ দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিয়ানমারে নতুন করে সংহিস পরিস্থিতি সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত নৌকাডুবি ও গুলিবিদ্ধ হয়ে শতাধিক রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া গেল।
রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় গত ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়।
জাতিসংঘের ভাষ্যমতে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। কেননা আরো অনেক রোহিঙ্গা এখনো চলন্তপথে রাস্তার পাশে অবস্থান করছে, যাদের এই মুহূর্তে হিসেবে আনা কষ্টসাধ্য। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা সোমবার ৩ লাখ ১৩ হাজার বলার পর, রাতের মধ্যেই এই সংখ্যা বাড়লো।