বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) উঠিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষককে যে কোনো উপায়ে কনভিন্স করে ওই কক্ষের সমস্ত ছাত্রছাত্রী যেন ৩০ মার্কস পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। একজনকে বলে দিচ্ছেন তিনি আবার পাস করে দিচ্ছেন। এটা অর্থের বিনিময়ে হচ্ছে বলে আমাদের কাছে রিপোর্ট আসছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছয়টি বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, এমসিকিউটা বোধহয় পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেওয়া উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমরা নিশ্চয়ই আগামীতে আপনাদের (শিক্ষাবিদ) সাথে বসবো।
এমসিকিউ কেন তুলে দেয়া উচিত সে ব্যাখ্যায় তিনি আরও বলেন, একদিকে যেমন শিক্ষকরা অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের ৩০ নম্বর নিশ্চিত করে দিচ্ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভুল উত্তর দিচ্ছেন। অনেকগুলো ঘটনা এমন ঘটেছে, সবগুলো সাবজেক্টে যে আশির উপরে পেয়েছে, কিন্তু একটা সাবজেক্টে গিয়ে দেখা গেছে- মূল প্রশ্নে ঠিকমত পেয়েছে, কিন্তু এমসিকিউতে গিয়ে সাত পেয়েছে, আট পেয়েছে। সেখানে ১০ পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। রাজধানীর রাজউক কলেজে লিখিত ও এমসিকিউয়ের নম্বরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে সচিব বলেন, সেখানকার ১০ জন ছাত্র ফেল করেছে, কারণ তারা এমসিকিউতে ৭-৮ পেয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাদের খাতা নিয়ে গেছে। নিশ্চিয় কোনো কারণ ছিল নইলে খাতা নিয়ে গেল কেন? এরপরেও ঢাকা বোর্ডকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি যে, তারা কী ৩০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে, নাকি ১০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে। ধারণা করতে পারব খাতা নেওয়াটাই কারণ কি না? নাকি আসলেই কম পেয়েছে। তারা কম পাওয়ার মত ছাত্র না। এবার থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে তা সৃজনশীল অংশে যোগ করা হয়েছে। ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর পর প্রথমেই নেওয়া হচ্ছে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা।
কিছু শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত উল্লেখ করে সোহরাব হোসাইন বলেন, আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে সমালোচনা হয়, আমরা জবাব দিতে পারি না। যেমন ধরুন- আমাদের প্রশ্নপত্র নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়, কেউ কেউ এমনও লিখেছেন মন্ত্রী, সচিব, উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন আউট করে দিচ্ছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যানেরও প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ থাকে না। শিক্ষকরাই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকেন। পরীক্ষার হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না- সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, এতেও শিক্ষাবিদদের সহযোগিতা নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।