Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জুলফিকারসহ র‌্যাবের সাবেক ৪ কর্মকর্তার বিচার শুরু

চট্টগ্রামে মাজারের ২ কোটি টাকা লুট

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবারের ২ কোটি টাকা লুটের মামলায় র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সাবেক কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদারসহ সাত জনের বিচার শুরু হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরে আলম ভুঁইয়ার আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পাশাপাশি এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। পিপি আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে আদালত ৭ আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন, এর মধ্যদিয়ে আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু হলো। বাদিপক্ষের আইনজীবী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে দন্ডবিধির ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় (দস্যুতা ও ডাকাতি) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এই মামলার আসামিরা হলেন- র‌্যাব-৭ এর সেসময়ের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বাধ্যতামূলক ছুটিতে) শেখ মাহমুদুল হাসান, র‌্যাব-৭ এর সাবেক ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র‌্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া। অভিযোগ গঠনের সময় জামিনে থাকা সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পিপি আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হলো। এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। এলিট ফোর্স র‌্যাবের ওপর জাতি কত আশা করে। অথচ এরা দরবারে ঢুকে সেখানকার লোকজনকে আটকে রেখে দরবার ও মসজিদ সংস্কারের জন্য মানুষের দেয়া দুই কোটি টাকা লুণ্ঠন করে নেয়।
তালসরা দরবারে ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে র‌্যাব সদস্যরা গিয়ে তল্লাশির নামে ২ কোটি ৭ হাজার টাকা লুটের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আনোয়ারা থানায় র‌্যাব সদস্যসহ ১২ জনেরর বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। তালসরা দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিসের মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলফিকার আলী মজুমদারের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে দরবার শরিফে রাখা আলমারি ভেঙে দুই কোটি সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই রাতে দরবার শরিফ থেকে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিককে র‌্যাব সদস্যরা আটক করে। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হলেও টাকার বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লেখ করেনি র‌্যাব। এ ঘটনা পরে জানাজানির পর র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে করা তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে টাকা লুটের ঘটনায় র‌্যাব সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
২০১২ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেফতার হন জুলফিকার। তবে ২১ জুন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হন তিনি। এরপর ২০১২ সালের ২৬ জুলাই জুলফিকারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ।
২০১২ সালেই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জুলফিকার ও মাহমুদুল হাসান। ২০১৫ সালের ১১ মার্চ জুলফিকারের করা আবেদনটি হাইকোর্টে বাতিল হয়ে যায়। সর্বশেষ গত বছরের ১৮ আগস্ট মাহমুদুল হাসানের পক্ষে আবেদনটি না চালানোর কথা জানানো হলে সেটিও বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। এরপর সংশ্লিষ্ট জিআরও শাখায় প্রায় চার বছর আগে জমা পড়া অভিযোগপত্রটি আদালতের নির্দেশে বিচারিক আদালতে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: র‌্যাব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ