বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন স্থলবন্দরসহ ৩ উপজেলার ৮ লাখ মানুষ
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : এবারের ভয়াবহ বন্যায় কুড়িগ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট ও ব্রীজ কালভার্ট এখনও মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি মানুষজনের। এদিকে পানির প্রবল¯্রােতে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী পাকা সড়কের ভেঙে যাওয়া ৪টি অংশ এখনও মেরামত করা হয়নি। ফলে প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে জেলা সদরসহ সারা দেশের সাথে বন্ধ রয়েছে সোনাহাট স্থলবন্দরসহ ৩ উপজেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট দ্রæত মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন যাতায়তের দুর্ভোগে পড়া মানুষজন।
সাম্প্রতিক বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬২টি ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়। পানি বন্দী হয়ে পড়ে ৫ লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয় সড়ক জনপথ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪০ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ১শ ৪০ কিলোমিটার কাচা সড়ক ও ২৩ টি ব্রীজ-কালভার্ট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থল বন্দর সড়কটি। সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী পুরাতন বাসস্টান্ড ও কুড়ারপাড় এলাকায় এ সড়কের ৪টি অংশে প্রায় ২শ মিটার সড়ক সম্পুর্নরুপে ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত না হওয়ায় প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামসহ সারা দেশের সাথে বন্ধ রয়েছে নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলাসহ সোনাহাট স্থল বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীসহ যাতায়তের দুর্ভোগে পড়া মানুষজন।
কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রী আব্দুল ওয়াদুদ, আনোয়ারুল হক, আমিরুল ইসলামসহ একাধিক যাত্রী জানান, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের ভোগান্তিতে থাকলেও সড়কটির ভাঙ্গা অংশ মেরামত করা হচ্ছে না। সেনাহাট স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী শাহিন আহমেদ বলেন, জেলা সদরসহ সারাদেশের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপুর্ন এ সড়কটিতে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় লোকসানে পড়তে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোন গাড়ি এই রোড়ে চলাচল করতে পারছে। যেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শ পাথর বোঝাই ট্রাক পাথর নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেত সেটা প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। আমরা ব্যবসায়রা দাবী করবো যত তারাতারি সম্ভব সড়কের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হোক। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি গুরুত্বপুর্ন এ সড়কগুলো। তবে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের কাজ শুরু করা কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় থাকা এই সড়কটির মেরামত প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বরকত মোঃ খুরশীদ আলম জানান, এই সড়কের চারটি অংশে প্রায় ২শ মিটার সম্পুর্ণরুপে ধ্বসে গেছে। এরমধে ছোট দুইটি ভাঙ্গা অংশ ভরাট করা হয়েছে। বাকী ভাঙ্গা অংশ দুটিতেও বালু ভরাটের কাজ চলছে। আশা করি যত দ্রæত সম্ভব যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হবে। এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ জানান, এলজিডির আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্টের তালিকা করে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি দ্রæততম সময়ে সেগুলোর কাজ করা হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক ও ব্রীজ কালভার্ট দ্রæত মেরামত করে দুর্গত এলাকার মানুষের ভোগান্তি লাঘবে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এখানকার মানুষের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।