Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘটনার ১০ ঘণ্টা পরে উদ্ধার কাজ শুরু

মোঃ হাবিবুর রহমান হাবীব, শরীয়তপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শরীয়তপুরে পদ্মায় ৩টি লঞ্চডুবি : নিখোঁজ ২০
ওয়াপদা ঘাটে নোঙ্গরকরা ৩টি লঞ্চ ডুবে যাওয়ায় উদ্ধারের জন্য ঘটনার ১০ ঘন্টা পরে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধারকারী জাহাজটি সন্ধা ৬টায় উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর নারায়নগঞ্জ থেকে বেলা সাড়ে ৩ টায় দূর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। এর প্রায় ১ ঘন্টা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে উদ্ধার কাজ শুরু করলে তাদের নোঙ্গর ছিড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ পুনরায় ব্যহত হয়।
উদ্ধারকারী জাহাজের নেতৃত্বদানকারী কমান্ডার জহির উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমাদের অগ্রবর্তী ডুবুরী দল এর দেওয়া তথ্য মতে দূর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভাটিতে দুলারচর নামক স্থানে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মৌচাক-৪ এর সন্ধান মিলেছে। ওই লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য আমাদের জাহাজ নোঙ্গর করে। কিন্তু পদ্মার প্রবল স্রোতে আমাদের প্রথম নোঙ্গরটি ছিড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এই লঞ্চটি উদ্ধারের পরপরই অপর ২টি লঞ্চ ও নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্যও অনুসন্ধান চলবে। আশা করছি সন্ধার মধ্যেই লঞ্চটি তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ার উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটে নোঙ্গর করে থাকা ৩ টি লঞ্চ নদীর প্রবল ¯্রােত ও ভাঙ্গনের কারনে ডুবে যায়। এ সময় অপর আরেকটি লঞ্চ এমভি সুরেশ্বর-২ ভেসে গেছে।
স্থানীয় লোকজন ও ঘাটের ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, ডুবে যাওয়া ওই লঞ্চ গুলোতে ১ নবজাতকসহ ৩ যাত্রী এবং অন্তত ২০ জন লঞ্চ কর্মচারী নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন লঞ্চ স্টাফ সহ ১৫ জনের পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ।
দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে শরীয়তপুর নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মচারী ডুবে যাওয়া লঞ্চ ও নিখোঁজদের উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহন করে। এদিকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ও খুলনা থেকে নৌ-বাহিনীর ১৫ সদস্যের ডুবুরী দল ডুবে যাওয়া লঞ্চ ও নিখোঁজদের উদ্ধারে বেলা ৩ টার দিকে দূর্ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে। দূর্ঘটনার শিকার লঞ্চ গুলো হচ্ছে এমভি মহানগরী, এমভি মৌচাক-৪ ও এমভি নড়িয়া-২।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোববার রাত ১০ টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে মৌচাক লঞ্চটি যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে আসে। লঞ্চের প্রায় সকল যাত্রী নেমে গেলেও রাতের অন্ধকার ও যানবাহন না থাকায় ওই লঞ্চে নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং এলাকার মোহাম্মদ আলী ফকিরের প্রসূতী স্ত্রী পারভীন আক্তার তার ৪ দিনের নবজাতক ও পারভীনের মা ফকরুন্নেছা লঞ্চেই অবস্থান করছিলেন। এছাড়াও ডুবে যাওয়া ৩ টি লঞ্চের অন্তত ২০জন স্টাফ নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবী করেছে তাদের স্বজনরা।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, তিন যাত্রীসহ লঞ্চ স্টাফ রবীন সিকদার, লিটন শেখ, মানিক সরদার, বশির, রফিক, জাকির, পলাশ, সজল তালুকদার, শাহ আলম, রাসেল ও সালাউদ্দিন।
তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় লোকজন ট্রলার নিয়ে নদী থেকে ৬ জন লঞ্চ স্টাফকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উদ্ধার

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ