Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা সমস্যা : ৭১-এ ইন্দিরা গেছেন যে পথে, ২০১৭-তে বাংলাদেশ যাবে সেই পথে

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একটি পথ নির্দেশ দিয়েছেন বিডিআরের সাবেক মহা পরিচালক অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ.ল.ম ফজলুর রহমান। গত রবিবার দৈনিক ‘ইনকিলাবের’ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনাম, “দুই লাখ রোহিঙ্গাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার/ মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান”। এই সংবাদের এক জায়গায় বলা হয়, ‘জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ৫০’এর দশক থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমারের সরকার। এই দুঃখ-দুর্দশা ১৯৭৮ থেকে দেখে আসছি। এটা আর কত দিন চলবে? মিয়ানমার এমন ফাজলামি করবে আর আমরা এটা মেনে নেব তা হতে পারে না। যদি মিয়ানমার সংযত না হয় তাহলে আমরা কি করব? আমরা সারাজীবন তাদেরকে খাওয়াতে থাকব? আর নানা ধরনের ক্রাইম শুরু হবে? এটা আমরা করতে পারি না। আমি মনে করি, শরণার্থী রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রেখে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে অন্তত ২ লাখ ফোর্স তৈরি করা দরকার। অতঃপর ব্যাকড বাই আর্মি মিয়ানমারে পাঠিয়ে রাখাইন প্রদেশটাকে বাংলাদেশের অংশ করে নিয়ে নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই রোহিঙ্গাদের দিয়ে আমরা কি করব? এটা একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। মনে হয় না মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে আর ফেরত নেবে। তাহলে তাদেরকে দিয়ে আমরা কি করব? মিয়ানমার থেকে যখন রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়া হচ্ছিল তখন সীমান্তে আমাদের সেনাবাহিনীর একটা ডিভিশন মুভ করা উচিৎ ছিল। যেমন যথেষ্ট হেলিকপ্টার, ফাইটার এয়ার কক্সবাজারে প্লেস করা যেত। যুদ্ধের জন্য নয়। ঠিক একটা তাৎক্ষণিক তৎপরতা আমাদের সীমান্তের মধ্যে নেয়া। তাহলে মিয়ানমার একটা ম্যাসেজ পেতো। বাংলাদেশ সহজে ছেড়ে দিবে না। এই যে মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গাদের ঢুকানো হচ্ছে, বাংলাদেশ মেনে নিচ্ছে না।’
মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানের উদ্বেগ এবং সুপারিশকে আমি তাৎক্ষণিকভাবে উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারণ, রোহিঙ্গা সমস্যা একটি বিরাট সমস্যা। এটি একটি বিরাট বোঝা। এই বোঝা আমরা অর্থাৎ বাংলাদেশ ঘাড় থেকে নামাতেও পারছি না। আবার সেই ভার বহনও করতে পারছি না। বর্মী সামরিক জান্তা একবার যাদেরকে বাংলাদেশের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে তাদের তারা আর ফেরৎ নেবে না। হিসাবে বলে যে, বার্মার রাখাইন প্রদেশে মোট রোহিঙ্গা মুসলমানের সংখ্যা ১১ লক্ষ। এদের মধ্যে ৬ লক্ষ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এই ৬ লক্ষের মধ্যে ৩ লক্ষ ঢুকেছে চলতি সালের আগে। আর এবার ঢুকেছে ৩ লাখ। অর্থাৎ রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশই বাংলাদেশে। আর সংখ্যা লঘিষ্ঠ অংশ রাখাইন তথা মিয়ানমারে। রোহিঙ্গারা আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাই তারা আমাদের ভাই। তারা মুসলমান। সেই হিসাবেও তারা আমাদের ভাই। সুতরাং তাদেরকে আমরা কোনো অবস্থাতেই ফেলতে পারি না। এই লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ব্যাপারে এখনই বাংলাদেশকে স্থির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বড় কঠিন। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ দাবি করছেন, বার্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করো। ইসলামী দলগুলো বলছে যে, যুদ্ধ ঘোষণা করো। আমরাও বাংলাদেশের লাখ লাখ মুসলিম সেই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবো। অনেকে তো আবেগের বশবর্তী হয়ে বলছেন, বার্মার বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করো।
যারা এই দাবি তুলছেন, তাদের আন্তরিকতাকে, তাদের আবেগকে, তাদের সেন্টিমেন্টকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। বার্মার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যুদ্ধ ঘোষণা করবে কিনা সেটি পরের ব্যাপার। কিন্তু এব্যাপারে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের যা যা করা উচিত ছিল তার অনেক কিছুই বাংলাদেশ করেনি। এই দেশ, বিশেষ করে বর্তমান সরকার, উঠতে বসতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। যদি মুক্তিযুদ্ধের কথাই ওঠে তাহলে একাত্তরে বাংলাদেশ সমস্যা ভারত কীভাবে হ্যান্ডেল করেছিল সেই উদাহরণও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
দুই
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান আর্মি যখন ক্র্যাক ডাউন শুরু করে তখন ভারত সর্বাগ্রে যেটি করে সেটি হলো সীমান্ত খুলে দেওয়া। শুধু সীমান্ত খুলে দেওয়াই নয়, ‘আকাশ বাণী কলকাতা’ থেকে বার বার বাংলাদেশীদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছিলো যে সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। পরোক্ষভাবে বলা হচ্ছিলো যে, নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশীরা সীমান্তের ওপারে অর্থাৎ ভারতে চলে যেতে পারেন। সেই সময় আকাশ বাণী কলকাতার একটি কণ্ঠ বাংলাদেশীদের কাছে খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। তিনি হলেন দেব দুলাল বন্দোপধ্যায়। বাংলাদেশীদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা সেদিন সীমান্তের ওপারে চলে গিয়েছিলেন। যারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে এই কলাম লেখক আমিও ছিলাম। আমি কুমিল্লার নবীনগর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রিজ পার হয়ে আগরতলা গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের বলা হলো, নিকটেই কলেজ টিলা নামক স্থানে একটি শরণার্থী শিবির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমি সেখানেই অবস্থান করেছিলাম। এই শিবিরেই আমার সাথে দেখা হয়েছিল আ.স.ম আব্দুর রব এবং মরহুম আব্দুল কুদ্দুস মাখনের।
তারপর আগরতলা থেকে মাঝে মাঝে কলকাতা যেতাম। কলকাতার থিয়েটার রোডে আওয়ামী লীগ নেতাদের অবস্থান ছিল। আমি দেখেছি, শরণার্থীদের মধ্য থেকে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাংলাদেশী তরুণদেরকে রিক্রুট করা হতো। আমি আরো দেখেছি, কীভাবে তাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসারদের নেতৃত্বে ট্রেনিং দেওয়া হতো। আমি আরো দেখেছি, ট্রেনিং শেষ হলে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হতো।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা কি সেদিনের বাংলাদেশী শরণার্থীদের থেকে কিছু আলাদা? বরং বলা যায়, তাদের অবস্থান বাংলাদেশীদের চেয়েও করুণ। সেদিন আমরাতো ছিলাম পাকিস্তানের নাগরিক। অন্তত একটি দেশের বৈধ নাগরিক। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলমানরা? তারা তো স্টেটলেস। তাদের কোনো রাষ্ট্র নেই। তাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই। অথচ, তারা শত বছর ধরে এই রাখাইন বা আরাকান বা আকিয়াবেই বাস করছে। ২০১২ সালে যখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বর্মী সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে, সেদিনও যখন গণহত্যা শুরু হয় তখন বার্মার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। মিয়ানমারে তাদের কোনো স্থান হবে না। তিনি অত্যন্ত রুঢ়ভাবে বলেছিলেন যে, রোহিঙ্গারা যেখানে ইচ্ছা সেখানে চলে যাক। পৃথিবীর যে কোনো দেশ তাদেরকে গ্রহণ করলে তাদের কোনো আপত্তি নেই (ডেইলি স্টার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭)।
পাকিস্তান আর্মি যখন বাংলাদেশীদের ওপর ক্র্যাক ডাউন শুরু করে তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সমস্যাটির মোকাবেলা শুরু করেন এই ভাবে: তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমস্যাটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা। সামরিক পথে এর কোনো সমাধান নেই। রাজনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান বা মোকাবেলা করতে হবে। রাজনৈতিক সমাধান যখন দৃশ্যমান হলো না তখন ভারত বিশেষ করে ইন্দিরা গান্ধী বললেন যে, এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থী তার দেশে আসায় তার দেশের ওপর বিরাট অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক ও সশস্ত্র তৎপরতা শুরু হলে ইন্দিরা বলেন, প্রতিবেশী দেশে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে ভারত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। তিনি বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোকে এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার আহবান জানান। এভাবে তিনি ধাপে ধাপে অগ্রসর হন।
বাংলাদেশ সংকটের সময় বিশ্বের দুটি বড় শক্তি অর্থাৎ চীন ও আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো। চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আগে ভারত এই দুটি বৃহৎ শক্তিকে নিউট্রালাইজ করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়নের সাথে (বর্তমান রাশিয়া) শান্তি চুক্তির নামে ২০ বছর মেয়াদী প্রতিরক্ষা চুক্তি করে। এর অনেক আগেই প্রবাসে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আগে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে, অন্য কথায় ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। অতঃপর ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর একদিকে পাকিস্তান ও অন্যদিকে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
তিন
ওপরে সংক্ষেপে যে কাহিনী বললাম, সেটি আপনারা সকলেই জানেন। তার পরেও বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যাটি সামনে রেখে আমাদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করতে হচ্ছে। আমি আগেই বলেছি যে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা আমাদের চেয়েও করুণ। আমরা তো তবু একটি রাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক ছিলাম। রোহিঙ্গা মুসলমানরা স্টেট লেস। নিজ ঘরে তারা পরবাসী। তাদের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখার পরেও বিজিবি প্রথমে সঙ্গীন উঁচিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দিয়েছিলো। দু’ তিন দিন ধরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে নাফ নদীর ওপারে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাদের অবস্থা হয়েছিল অনেকটা সেই পানিতে কুমির আর ডাঙ্গায় বাঘের মতো। রাখাইনে থাকলে মগ হানাদাররা আকাশ থেকে গুলি চালায়, মাটিতে গুলি করে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় এবং তাদের নারীদেরকে ধর্ষণ করে। আর নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসতে গেলে বিজিবি বাধা দেয়। কোন দিকে যাবে তারা? তারপর বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মতো রোহিঙ্গা মুসলমানরা যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে তখন কবিতার ভাষায়, সেই বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার বালির বাঁধ দিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এখন তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ ঢুকে পড়েছে। অথচ এখনও বাংলাদেশ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা এবং তাদের ওপর মগ হার্মাদ-লুটেরাদের জুলুম নিয়ে বিশ্বে ছুটাছটি করছেন না। এমনকি অফিসিয়ালি কোনো বিবৃতি দিতেও তারা কুণ্ঠিত।
৭১-এ ইন্দিরা গান্ধী যে রকম বলেছিলেন, আজ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারও তো বলতে পারে যে রোহিঙ্গা সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। অং সান সুচির হানাদার বাহিনীর বুলেট দিয়ে এর সমাধান হবে না। রাজনৈতিকভাবেই এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। এসব কোনো কথাই বাংলাদেশ সরকার বলছে না। বাংলাদেশ সরকার তো ইন্দিরা গান্ধীর মতো বলতে পারে যে, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা আমাদের সীমান্তে আসায় বাংলাদেশের একটি অংশ অশান্ত হয়ে উঠছে এবং আমাদের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে, রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে বাংলাদেশকে বিকল্প পথ দেখতে হবে। সেই বিকল্প পথ কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ৪৬ বছর আগেই আমাদেরকে দেখিয়ে গেছেন।
চার
বর্মী সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই। আমরা আগেই বলেছি যে, ঐ কথাটি সত্য নয়। তার পরেও তর্কের ছলে বলা যায় যে, হিটলারের অভিযানের পর ইহুদিরা স্টেট লেস হয়ে পড়ে। সারাবিশ্বে তারা ছড়িয়ে-ছিটকে পড়ে। তখন এই আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং সোভিয়েট ইউনিয়ন মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনের বুক চিরে শুধু মাত্র ইহুদিদের একটি রাষ্ট্র দেওয়ার জন্য ইসরাইল নামক একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করে। ইসরাইল একটি অবৈধ রাষ্ট্র। ফিলিস্তিন তথা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলির হৃদযন্ত্রে এটি একটি ক্যান্সার। সেই ক্যান্সারকেই রাশিয়া এবং পশ্চিমারা পেলে পুষে বড় করছে। তাহলে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য বার্মার অভ্যন্তরে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না কেন? সেই রাষ্ট্রের এলাকা হতে পারে বর্তমানের রাখাইন রাজ্য।
সেই রাখাইন রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ১৬ কোটি লোকের দেশ বাংলাদেশ সারাবিশ্বে ক‚টনৈতিক অভিযান শুরু করতে পারে। রোহিঙ্গাদের যদি নাগরিকত্ব না দেওয়া হয়, যদি তাদের বার্মাতে শান্তি ও মর্যাদার সাথে বসবাস করতে দেওয়া না হয়, তাহলে ভারত ও পশ্চিমাদের দেখিয়ে দেওয়া পথ অনুসরণ করে রোহিঙ্গাদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভ‚মি প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প থাকবে না।
সেই কাজে অগ্রণী হতে হবে বাংলাদেশকেই। তবে দুর্বলের পক্ষে সেই কাজ সুসম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সামনে কতখানি সবল? অথবা কতখানি দুর্বল? সেই প্রশ্নটি ভেবে দেখার সময় এসেছে। যদি দুর্বল হয় তাহলে সবল হওয়ার জন্য অতি দ্রুত গতিতে যা যা করার প্রয়োজন তার সব কিছুই করতে হবে।
[email protected]



 

Show all comments
  • Sadek Hossain ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:৩৬ এএম says : 0
    হ্যাঁ,যদি তাই করা হয় বাংলাদেশ থাকবে নিরাপদে, পার্বত্য অঞ্চল থাকবে হিফাজতে।
    Total Reply(0) Reply
  • Zahid Hera ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:৩৭ এএম says : 0
    lekhata onk vlo lagse
    Total Reply(1) Reply
    • md elias ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১:১০ পিএম says : 4
      emergence traning start,retrad army/bdr/police oficer
  • Srabonty Rahman Muna ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫২ এএম says : 0
    কাঁদছে রোহিঙ্গা,কাঁদছে মানবোতা, চেয়ে চেয়ে দেখছে সুশীল সমাজ। কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গামুসলিমের নিবাস নিমর্ম নির্যাতন ও নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদ জাগ্রত হতে হবে ইসলাম যাঁরা আছেন এবং মানবতার জন্য সকলে এক হয়ে কিছু একটা করেন,অনেক দেরি যেন না হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • আতিক ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১১ পিএম says : 0
    প্রতিবাদ নয়,,প্রতিরোধ চাই।।
    Total Reply(0) Reply
  • সাহাব আহমেদ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১৪ পিএম says : 1
    মানুষ হিসেবে আমরা অবশ্যই লজ্জিত হবো যদি আমরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ব্যাপারে আওয়াজ না তুলি যাদের বাড়ি -ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, নির্মমভাবে হত্যা ও বিভিন্নভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে।।
    Total Reply(0) Reply
  • বাহদুর ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:২৩ পিএম says : 0
    জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জরুরী ভিত্তিতে রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • পাবেল ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৩০ পিএম says : 1
    বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা। সেই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে এই সংকটের স্থায়ী সমাধান করা।
    Total Reply(0) Reply
  • আজাদ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৪ পিএম says : 0
    বিজিবি’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) আ ল ম ফজলুর রহমান সাহেবের পরামর্শই গ্রহণ করা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • জাহিদ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৭ পিএম says : 0
    ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য বার্মার অভ্যন্তরে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না কেন? সেই রাষ্ট্রের এলাকা হতে পারে বর্তমানের রাখাইন রাজ্য।
    Total Reply(0) Reply
  • নাহিদা সুলতানা ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৮ পিএম says : 0
    আমার মতে সেই পথেই যাওয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • mamun ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৩৪ পিএম says : 0
    লেখাটা ভাল লেগেছে। আল্লাহ আমাদেরকে রোহিঙ্গাদের জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়ার তৌফিক দিন, যা একজন মর্দে মুমিনের জন্য অপরিহার্য। হাদীস শরীফে আছে, সকল মুসলিম জাতি একটি দেহের মতো; এর যে কোনো স্থানে আঘাত লাগলে গোটা দেহ্ তা অনুভব করে।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৩০ পিএম says : 0
    বিডিআর-এর সাবেক মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল আ.ল.ম. ফজলুর রহমান সাহেবকে অন্তরের গভীর থেকে সশ্রদ্ধ স্যালুট জানাই অতি গুরুত্বপুর্ণ কথাগুলো বলার জন্য। যদি এতে আমাদের নতজানু সরকারের জ্ঞান ফেরে। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা মহাসুযোগ। রোহিঙ্গাদেরকে প্রশিক্ষন ও অস্ত্র দিয়ে আরাকানে ঢুকিয়ে দেওয়া হোক। বাংলাদেশ থেকে পুর্ণ সহযোগিতা পেলে ওরাই বার্মা সরকারকে পাগল বানিয়ে আরাকান স্বাধীন করে ফেলবে। তাতে আমাদের বিরাট লাভ আছে।। সরকারের বুঝা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • no name ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৮:১৫ পিএম says : 0
    this recommendation looks like whatever Pakistan is doing against India in Kashmir
    Total Reply(0) Reply
  • abu ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:০৪ পিএম says : 0
    War is fought in peace time. If one goes to war at the last moment the defeat is certain. Still it is possible to annex Arakan which belonged to Bangladesh in the past by war and diplomacy. However I cannot discuss the tricks in the internet. We know that Fazlur Rahman is a real hero. I only pray that others search their brains for the sure tricks. Please show all my postings.
    Total Reply(0) Reply
  • ওবাইদুল ইসলাম ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:০৫ পিএম says : 0
    সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না, এটা সবাই জানে । জানেন না শুধু বাংলাদেশের সরকার । মায়া কান্না করে লাভ নাই । রোহিঙ্গা ফিরানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে সজাগ করতে সামরিক ব্যাবস্থায় যেতেই হবে ।
    Total Reply(0) Reply
  • hayder ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৮:৫৫ পিএম says : 0
    এরা শুধু রহিঙ্গা মুসলিম নয় এরা বাংঙ্গী মুসলিম। ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্য। আরাকান ও রাখাইল কে আর একটি ফিলিস্তন হতে দিতে দিব না। প্রতিরোধ যুদ্ধে আমার জীবনকে উৎসর্গ করলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ সাজদ আলী সরদার ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৭:১১ পিএম says : 0
    আমার প্রশ্ন হচ্ছে-শরণার্থী হিসেবে নারী ও শিশু আসছে বাংলাদেশে। ১৮ থেকে ২২ বছরের শিক্ষিত যুবকরা কই?
    Total Reply(0) Reply
  • M. Maniruzzaman ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:২৫ এএম says : 0
    Joy Rakhain. What India did in 1971, Bangladesh should do the same thing today. Let our PM Hasina follow Indira Gandhi. 160 million people will be with her. M. Maniruzzaman, PhD
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৮:০৩ পিএম says : 0
    He is right
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৫:১০ পিএম says : 0
    বর্মী সামরিক জান্তারা রোহিঙ্গাদের জন্য স্কুলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ১৯৬০ সাল থেকে। আপনি শিক্ষিত রোহিঙ্গা পাবেন কেমন করে?
    Total Reply(0) Reply
  • মাহমুদ হাসান ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:৫৭ পিএম says : 0
    আমাদের ৭১ এর সিদ্ধান্ত মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে !! এবং উনার মতামতের সাথে আমিও একমত !!
    Total Reply(0) Reply
  • ইকবাল ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৯ পিএম says : 0
    ভারতের সহযোগিতা কেন নেই?
    Total Reply(0) Reply
  • rakib hasan ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:০৮ এএম says : 0
    HA AMI MONE KORI SHABEK BDR MOHA PORICHALOK ER PALAN EI AGANO WCHITH !! E SARA BANGLADESHER SHAMNE R KONO WPAY NAI !! WE SHOULD TRAIN THEM & SEND THEM BACK !!! THEY WILL BUILD THEIR OWN NATION HOW WE DID !!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ