রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামানের ওপর হামলার ঘটনায় প্রদর্শক জহুরুল আলমকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাকে শোকজ পত্র পাঠানো হয়। গত রোববার বিকেলে দৌলতপুর কলেজ পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় প্রদর্শক জহুরুল আলমকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দৌলতপুর কলেজ সূত্র জানায়, দৌলতপুর কলেজকে জাতীয় করনে হাইকোর্টে রীট করার বিষয়ে দৌলতপুর কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী একমত হলেও শুধুমাত্র ভূগোল বিভাগের প্রদর্শক জহুরুল আলমের বিরোধিতা করে আসছিল। এরই জের ধরে ঈদের ছুটি শেষে শনিবার কলেজ খুললে সকাল ১০টার দিকে জহুরুল আলম কলেজে গিয়ে কলেজ জাতীয়করনের বিরোধীতা করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জহুরুল আলম অধ্যক্ষের কক্ষের দরজায় লাথি মেরে প্রবেশ করে কর্তব্যরত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামানের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় অধ্যক্ষের কক্ষে থাকা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও কলেজের পিওন জহুরুলকে বাঁধা দিলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে অধ্যক্ষের টেবিলে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে এবং তছনছ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামানকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে কলেজ থেকে চলে যায়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনার প্রতিবাদে তৎক্ষনাত দৌলতপুর কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দৌলতপুর কলেজের উপস্থিত সকল শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ প্রদর্শক জহুরুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে প্রদর্শক জহুরুল আলম অধ্যক্ষের ওপর হামলার এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য একটি মহলের প্ররোচনায় দৌলতপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিলে তার প্রতিবাদে রোববার দৌলতপুর কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ আবারও ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। এরই প্রতিবাদে বিকেলে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে দৌলতপুর কলেজ পরিচালনা কমিটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। দৌলতপুর কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ্যাড. হাসানুল আসকার হাসুর সভাপতিত্বে জরুরী সভায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রদর্শক জহুরুল আলমের এ আচরে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জহুরুল আলমকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেন এবং হামলার ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি জিডি করা হয়।
অপরদিকে রোববার দুপুরে প্রদর্শক জহুরুল আলমের দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগ তদন্তে এসে দৌলতপুর থানার এসআই শাহাদৎ হোসেন প্রদর্শক জহুরুল আলমকে দৌলতপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামান পিস্তুল বের করে গুলি করতে যাওয়ার ঘটনা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন। ঘটনার সময় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই জানিয়েছেন জহুরুল আলম অধ্যক্ষের ওপর হামলার চেষ্টা করলে তাতে বাঁধা দেয়া হয়। এখানে পিস্তুল বের করার কোন ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে দৌলতপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামান জানান, একটি রাজনৈতিক মহল আমার ওপর ইর্শ্বান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে আমার লাইসেন্স করা পিস্তুলের লাইসেন্স বাতিলে জহুরুল আলমকে গুঠি হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন দৌলতপুর কলেজের ৭-৮ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রদর্শক জহুরুল আলম আমার ওপর হামলার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ তাকে বাঁধা দেয়। এখানে পিস্তুল বের করার কোন ঘটনাই ঘটেনি।
উল্লেখ্য, কলেজ জাতীয়করনের সকল নীতিমালা থাকা সত্বেও উপজেলা সদরে অবস্থিত দৌলতপুর কলেজকে জাতীয়করনের সরকারী ঘোষনা না দিয়ে উপজেলা সদর থেকে ৩ কি.মি. দূরে অবস্থিত নির্জন স্থানে ছাত্রী বিহীন ননএমপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজকে জাতীয়র করনের ঘোষনা দেয়া হয়। এতে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হোন দৌলতপুরের সর্বস্তরের জনতা। যারপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রীট করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।