Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শরীয়তপুরে লঞ্চডুবিতে ২ নারী ও নবজাতকসহ নিখোঁজ ২৫

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১:১০ পিএম

শরীয়তপুরের নড়িয়ার ওয়াপদা ঘাটে প্রবল স্রোত ও পদ্মার ভাঙনের কারণে ৩টি লঞ্চডুবির ঘটনায় মৌচাক নামের লঞ্চের স্টাফ মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী, শিশু কন্যা ও শাশুড়িসহ এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।

নিখোঁজদের মধ্যে মহানগর নামক লঞ্চের সুকানি শফি, ড্রাইভার শাহ আলম, গ্রিজার সালাউদ্দিন ও আরেকজন দোকানদার।

নড়িয়া-২ লঞ্চের কেরানি-সজল, সুকানি- সোহরাব, গ্রিজার- সাদেক, লস্কর- জয় ও দোকানদার রবিনের নাম জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক সপ্তাহ আগে ঢাকার একটি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তার স্ত্রী, ৬ দিনের কন্যা সন্তান ও শাশুড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন। মোহাম্মদ আলী তাদেরকে লঞ্চে রেখে গাড়ি ভাড়া করার জন্য নিচে যান। এসময় পদ্মার প্রবল স্রোতে পন্টুন থেকে লঞ্চগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে অদূরে গিয়ে ডুবে যায়।

তারা আরও জানান, নিখোঁজের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫ হবে। আরও বাড়তে পারে।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে তীব্র স্রোত ও ভাঙনে নোঙর করা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বি আইডব্লিউটিসি) তিনটি লঞ্চ ডুবে যায়।
লঞ্চ তিনটি হলো- মৌচাক-৪, মহানগরী ও নড়িয়া-১। মৌচাক-৪ লঞ্চটি ওয়াপদা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকায় চলাচল করে। মহানগরী ও নড়িয়া-১ এই লঞ্চঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জে চলাচল করে।

নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, সকালে ঘাটে পন্টুনে পাঁচটি লঞ্চ নোঙর করা ছিল। হঠাৎ করে ভাঙন ও স্রোতের টানে ঘাট থেকে পন্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় ওই তিনটি লঞ্চ স্রোতে ভেসে গিয়ে নদীতে ডুবে যায়। এই তিনটি লঞ্চে প্রায় ২৫ কর্মী ছিলেন। তারা লঞ্চে আটকা পড়েছেন কিনা সেই তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চগুলো উদ্ধারে কাজ করছেন। নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকেও খবর দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ